সুবিদ আলীর আয় বেশি, ড. মোশাররফের মামলা

কুমিল্লা-১ আসনে (দাউদকান্দি-মেঘনা) মূলত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মেজর (অব.) সুবিদ আলী ভূঁইয়া ও বিএনপির প্রার্থী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের মধ্যে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশনে প্রার্থীদের জমা দেয়া হলফনামা থেকে জানা যায়, সুবিদ আলী ভূঁইয়ার আয় বেশি। মামলা বেশি বিএনপির প্রার্থী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের।

হলফনামায় উল্লেখ করা হয়, আওয়ামী লীগ প্রার্থী সুবিদ আলী ভূঁইয়ার বাৎসরিক আয় এক কোটি ১২ লাখ ৪২ হাজার ২৩৫ টাকা। তিনি কৃষি ও মৎস্য, বাড়ি ভাড়া, সংসদ সদস্যের সম্মানী এবং পেনশন, ব্যাংক সুদ থেকে এই টাকা আয় করেন।

তার কাছে নগদ টাকা আছে ছয় লাখ ৫২ হাজার ৭১৭ টাকা। স্ত্রীর কাছে আছে ছয় লাখ ৩৬ হাজার ৩১৫ টাকা। ব্যাংকে জমা আছে ২৫ লাখ ১১ হাজার ৫৮০ টাকা। ব্যাংকে স্ত্রী নামে রয়েছে ছয় লাখ ২৬ হাজার ৮৫০ টাকা, তার কাছে থাকা গাড়ির মূল্য ৬৪ লাখ ২০ হাজার টাকা, স্বর্ণ রয়েছে ৩৪ হাজার ১২০ টাকার, ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী রয়েছে দুই লাখ ৭০ হাজার টাকার। আসবাবপত্র রয়েছে আড়াই লাখ টাকার।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও কুমিল্লা-১ আসনের বিএনপির প্রার্থী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বছরে আয় করেন এক কোটি নয় লাখ ৭৯ হাজার ৪৪০ টাকা। তিনি আয় করেন কৃষি, বাড়ি ভাড়া, ব্যাংক আমানত সুদ থেকে। তার কাছে নগদ টাকা আছে চার লাখ এক হাজার ৫৪৯ টাকা। ব্যাংকে জমা আছে নিজের নামে ১৮ লাখ ১৩ হাজার ১৬৩ টাকা, স্ত্রীর নামে চার লাখ ৪১ হাজার ৪৭ টাকা, তার গাড়ির মূল্য ১২ লাখ ৩২ হাজার ৫৫৩ টাকা, স্ত্রী প্রাইভেট কারের মূল্য ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকা। স্বর্ণ রয়েছে ১৫ হাজার টাকার, তার স্ত্রীর কাছে রয়েছে বিয়ের উপহার ৪০ ভরি স্বর্ণ। ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী রয়েছে তিন লাখ ৫২ হাজার টাকার, স্ত্রীর রয়েছে তিন লাখ ৮০ হাজার টাকার। নিজ নামে আসবাবপত্র রয়েছে তিন লাখ টাকার, স্ত্রীর নামে রয়েছে পাঁচ লাখ টাকার আসবাবপত্র।

এদিকে মামলা বেশি ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের। তার বিরুদ্ধে ১২টি ফৌজদারী মামলা রয়েছে। এগুলোতে তিনি জামিনে আছেন। অতীতেও তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়। সেগুলো বাতিল করা হয়েছে। এদিকে সুবিদ আলী ভূঁইয়ার তিনটি মামলা ছিল। সেগুলো স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয় প্রত্যাহার করেছে।

সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) কুমিল্লার সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর মাসুম বলেন, হলফনামায় দেয়া প্রার্থীদের তথ্য নিয়ে মানুষের মনে সন্দেহ রয়েছে। মানুষ মনে করে হলফনামা যাচাই করে ভুল তথ্য পেলে ওই প্রার্থীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।