দোহারে বিএনপির প্রচারণায় পুলিশের ‘লাঠিচার্জ’, প্রার্থী আটক

ঢাকা-১ (দোহার-নবাবগঞ্জ) আসনের বিএনপির প্রার্থী খোন্দকার আবু আশফাকের নির্বাচনী প্রচারণায় পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার বিকালে দোহার উপজেলার লটাখোলা করম আলী মোড় থেকে ধানের শীষের প্রতীকের মিছিল বের হলে এ ঘটনা ঘটে।

বিএনপির নেতা-কর্মীদের দাবি, বুধবার বিকালে দোহার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন ঢাকা-১ (দোহার-নবাবগঞ্জ) আসনের বিএনপির প্রার্থী খন্দকার আবু আশফাক। প্রচারণাকে কেন্দ্র করে দোহারের লটাখোলা করম আলীর মোড়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল সহকারে সমবেত হয় নেতা-কর্মীরা। পরে করম আলীর মোড় থেকে ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে একটি বড় মিছিল বের হয়ে উপজেলার প্রাণকেন্দ্র জয়পাড়া বাজারসহ প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিলে দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলা বিএনপি এবং সহযোগী সংগঠনের সিনিয়র নেতা-কর্মীদের সরব উপস্থিতি ছিল বলে দাবি বিএনপির।

বিএনপি নেতা-কর্মীরা জানায়, মিছিলের শেষ পর্যায়ে নেতা-কর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এসময় পুলিশ লটাখোলা করম আলীর মোড় থেকে বিএনপির প্রার্থী খন্দকার আবু আশফাককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এছাড়া দোহার উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম মেছেরসহ অন্তত ৩০/৩৫ জন নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।

এবিষয়ে দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন দাবি করেন, ‘বিএনপির প্রার্থী আবু আশফাককে আটক করা হয়নি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তবে ছেড়ে দেয়া হবে কি না এবিষয়ে তিনি কোনো উত্তর দেননি। ওসি আরও বলেন, বিএনপির নেতা-কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়েছে।

এবিষয়ে বিএনপির নেতা কালাম খন্দকার বলেন, ‘বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমাদের নেতা খন্দকার আবু আশফাকসহ প্রায় ৩০/৩৫ জন নেতা-কর্মীকে অন্যায়ভাবে আটক করে থানায় নিয়ে গেছে।’

তিনি আরও বলেন, একমাস যাবৎ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাজার-হাজার নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে দোহার-নবাবগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ, উঠান বৈঠক করছেন। তাতে পুলিশের কোনো সমস্যা হচ্ছে না কিন্তু আজ আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ আওয়ামী লীগকে সাথে নিয়ে হামলা চালিয়েছে। আমাদের দলের নেতা-কর্মীদের পিটিয়ে আহত করে থানায় নিয়ে গেছে। এতেই প্রমাণিত হয় যে পুলিশ ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ হয়ে কাজ করছে।’

এবিষয়ের বিএনপির প্রার্থী খন্দকার আবু আশফাকের সাথে এই প্রতিবেদক কথা বলতে চাইলে পুলিশ কথা বলতে দিতে রাজ হয়নি। এদিকে এ ঘটনার পরপর বুধবার সন্ধ্যার দিকে নৌকার প্রার্থী সালমান এফ রহমানের পক্ষে মিছিল বের করে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।

তারা দাবি করেন, লটাখোলা করম আলী মোড়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা নৌকার প্রার্থীর পক্ষে থাকা দুটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দিয়েছে। এ ঘটনায় বিক্ষোভ মিছিল করে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।

দোহার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর হোসেন বলেন, ‘নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করা আমাদের দুই কর্মীর মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।’