প্রাণীজগতে যে কতো রকমের বৈচিত্র রয়েছে, তা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা সম্ভব নয়। পৃথিবীর এমনই এক আশ্চর্য প্রাণী পিগমি মারমোসেট বানর। সাধারনত যে ধরণের বানর দেখা যায় পিগমি মারমোসেট বানর তার থেকে পুরোপুরি আলাদা। এই প্রজাতির বানরের উচ্চতা মাত্র ৪ থেকে ৫ ইঞ্চি! আর ওজন মাত্র ৮০ থেকে ১৪০ গ্রাম।

পিগমি মারমোসেট বানর সাধারণত পৃথিবীর সর্ববৃহৎ বন দক্ষিণ আমেরিকার আমাজনে দেখতে পাওয়া যায়। এটাই পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট প্রজাতির বানর বলে স্বীকৃত।

সবচেয়ে বড় পিগমি মারমোসেটের ওজনই হলো ১২০ থেকে ১৪০ গ্রাম। এই ওজন একটি প্রমাণ সাইজের আপেলের চেয়েও কম! এই বানর আপনি হাতের আঙ্গুলে কিংবা পকেটে নিয়েও ঘুরতে পারবেন।

ঘাড় ভর্তি কেশরের জন্য পিগমি মারমোসেটকে ‘ছোট সিংহ’ বলেও ডাকা হয়। সিংহের মতো বুকে ও মাথায় বড় বড় লোমও রয়েছে। আর সাথে আছে নিজের শরীরের সমান লম্বা একটা লেজ।

যে কোনো গাছে চড়তে পটু এই বানর। তাছাড়া ওজন একেবারে অল্প হওয়ায় গাছের মগডালে উঠতেও কোনো সমস্যা নেই পিগমি মারমোসেটের। মারমোসেটদের সবচেয়ে অবাক করা গুণ হচ্ছে, এরা ১৮০ ডিগ্রি পর্যন্ত ঘাড় ঘোরাতে পারে। এর ফলে শিকার ধরতে বা শিকারির হাত থেকে নিজে বাঁচতে কোনো সমস্যাই হয় না তাদের।

সাধারনত ফল, গাছের কচি গুঁড়ি, ছোট পোকামাকড় ও গাছের পাতা খেয়েই বাঁচে পিগমি মারমোসেটরা। তবে গাছের গুঁড়ির রস এদের ভীষণ প্রিয়। তাই ধারালো নখের মাধ্যমে গাছের গুঁড়ি খুড়েই জীবন কাটিয়ে দেয় এরা।

সারা বিশ্বে পোষা প্রাণী হিসেবে পিগমি মারসোসেট বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, পরিবারের কাছ থেকে কোনো বাচ্চাকে আলাদা করা হলে সেটিকে বাঁচিয়ে রাখা একেবারেই কঠিন হয়ে পড়ে। আর তাই চাইলেও পিগমি মারমোসেট সহজে পোষা যাচ্ছে না।

 

আপনি আরও পড়তে পারেন

আকাশ থেকে নেমে এলো কোটি কোটি মাকড়সা

বিক্রি হচ্ছে মানুষের মাংস!

মোরগের জন্য বাস ফ্রি!

Discover extraordinary stories from around the world with our exceptional news coverage. From uplifting human interest stories to groundbreaking scientific discoveries, we bring you the best of the best. Stay informed about the latest breakthroughs in technology, medicine, and beyond, and explore the world's most fascinating cultures and communities. Get inspired and informed with our exceptional news coverage.