পুতিনের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের ফোনালাপ

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বুধবার দুপুরে টেলিফোনে কথা বলেছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবি রাজাপাকসে। এ সময় তিনি শ্রীলঙ্কাকে বাকিতে তেল সরবরাহ করতে রুশ প্রেসিডেন্টের প্রতি অনুরোধ জানান। গোতাবি রাজাপাকসে এক টুইটে এ কথা জানিয়েছেন।

পুতিনের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের ফোনালাপ

পুতিনের সঙ্গে টেলিফোন সংলাপকে ‘গঠনমূলক’ অভিহিত করে রাজাপাকসে জানান, তিনি শ্রীলঙ্কার চলমান অর্থনৈতিক উত্তরণে জ্বালানি আমদানির জন্য রুশ প্রেসিডেন্টের কাছে ঋণ সুবিধা চেয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি শ্রীলঙ্কার সংকট উত্তরণে রুশ ফেডারেশনের সরকারের সহযোগিতার জন্য প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ধন্যবাদ জানান।

তীব্র জ্বালানি সংকটে নাকাল হয়ে পড়েছে শ্রীলঙ্কা। জ্বালানি কিনতে পেট্রোল পাম্পে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে বেশ কয়েকজন শ্রীলঙ্কান নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। জ্বালানির জন্য দাঙ্গা, সংঘর্ষের একাধিক ঘটনা ঘটেছে দেশটিতে। দুই সপ্তাহ আগে এক ঘোষণায় শ্রীলঙ্কা সরকার ১০ জুলাই পর্যন্ত জরুরি পরিষেবা বিভাগ ছাড়া নাগরিকদের কাছে তেল বিক্রি করেছে নিষিদ্ধ করেছে। সংকট মোকাবেলায় চলতি সপ্তাহ থেকে অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতেও জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছে।

সুবিধাজনক শর্তে তেল ও রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কিনতে বিভিন্ন দেশের দ্বারস্থ হয়েও আশানুরূপ সাড়া পাচ্ছেনা শ্রীলঙ্কা সরকার। অর্থনৈতিক দুর্দশার কারণে দেশটির সার্বভৌম ঋণমানের অবনমন ঘটায় জ্বালানি সরবরাহকারকরা বিদেশি ব্যাংকের গ্যারান্টি ছাড়া শ্রীলঙ্কার কাছে তেল বিক্রি করতে রাজি হচ্ছেন না।

জ্বালানি চাহিদা মেটাতে রাশিয়ার সহযোগিতা চেয়ে চলতি সপ্তাহের শুরুতে প্রেসিডেন্ট পুতিনকে চিঠি লেখেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবি রাজাপাকসে। চিঠিতে তিনি বিষয়টি নিয়ে রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনালাপের আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং প্রয়োজন হলে রাশিয়া সফর করতে চান বলে জানান।

ফোনালাপের বিষয়ে শ্রীলঙ্কান প্রেসিডেন্ট আরও লেখেন, আমরা একমত হয়েছি যে দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব জোরদারে পর্যটন, বাণিজ্য, সংস্কৃতির মতো ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারের গুরুত্ব অপরিসীম। দুই দেশের মধ্যে বিমান চলাচল পুনরায় শুরু করতে আমি রুশ প্রেসিডেন্টের কাছে বিনীত অনুরোধ জানিয়েছি।

এর আগে গত মাসে শ্রীলঙ্কার একটি আদালতের আদেশে কলম্বো বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ব আকাশসেবা সংস্থা অ্যারোফ্লটের একটি উড়োজাহাজ আটক করে। বিমান ইজারাদাতা একটি কোম্পানির মামলার প্রেক্ষিতে কলম্বোর আদালত ওই সিদ্ধান্ত দেয়। অ্যারোফ্লটের উড়োজাহাজ আটকের প্রতিক্রিয়ায় রুশ সরকার শ্রীলঙ্কায় সংস্থাটির বিমান চলাচল বন্ধ করে দেয়।