লিটন: আমরা পাওয়ার ক্রিকেট খেলতে পারি না

টেস্টের পর টি-টোয়েন্টিতেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে পাত্তা পায়নি বাংলাদেশ দল। বৃহস্পতিবার রাতে গায়ানায় সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে স্বাগতিকদের কাছে ৫ উইকেটে হেরেছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। আগের ম্যাচের চেয়ে ব্যাটিংয়ে উন্নতি করেছিল বাংলাদেশ, কিন্তু ক্যারিবিয়ানদের মারকাটারি ব্যাটিং আবারও ব্যবধান গড়ে দিয়েছে।

লিটন: আমরা পাওয়ার ক্রিকেট খেলতে পারি না

ম্যাচ শেষে লিটন দাস স্বীকার করেছেন, পাওয়ার হিটিংয়ে অনেক পিছিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। আর ক্ষুদে ফরম্যাটে ম্যাচ জিততে পাওয়ার ক্রিকেট খেলতে হয়। অস্ট্রেলিয়ায় আসন্ন বিশ্বকাপে এই ঘাটতি খুব ভোগাবে টাইগারদের।

গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে লিটনের ৪৯, আফিফের ৫০, মাহমুদউল্লাহর ২২ রানে ৫ উইকেটে ১৬৩ রান করেছিল বাংলাদেশ। জবাবে কাইল মেয়ার্সের ৩৮ বলে ৫৫, নিকোলাস পুরানের ৩৯ বলে ৭৪ রানের বিস্ফোরক ইনিংসে ১০ বল আগেই জয় তুলে নেয় স্বাগতিকরা।

লিটনের মতে, পাওয়ার হিটিংয়ে অন্য দলগুলোর চেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ, ‘ভালো ভালো দল থেকে আমরা পিছিয়ে টি-টোয়েন্টিতে। আমাদের অনেক কাজ করার আছে। আমরা পাওয়ার ক্রিকেট খেলতে পারি না। টি-টোয়েন্টি স্কিলের খেলা, টেকনিক-ট্যাকটিকসের খেলা। আমার কাছে মনে হয় পাওয়ার হিটিং খুব দরকার। এই জায়গায় আমরা অনেক পিছিয়ে আছি।’

পুরান- মেয়ার্সের আগুণে ব্যাটিংয়ের প্রশংসাও করেছেন লিটন, ‘ওদেরকে ক্রেডিট দিতে হবে যেভাবে ব্যাটিং করেছে। খুব ভালো ভালো বলেও ওরা মেরেছে। এই জিনিসটা ওদের প্লাস পয়েন্ট যে ওরা পাওয়ার ক্রিকেট খেলে, আমরা খেলতে পারি না। আমার মনে হয় এই জিনিসটা কাজ করেছে বোলারদের মাথায় যে একটু ১৯-২০ হলেই মেরে দিতে পারে।’

বাংলাদেশের কেউ কেনো এই পাওয়ার হিটিং পারেন না? লিটন বলছেন, ‘তারা জেনেটিক্যালি অনেক পাওয়ারফুল, যেটা আমি না বা আমাদের টিমের কেউই না। তারা চাইলে বড় গ্রাউন্ডসের ওপর দিয়ে ছয় মেরে দিতে পারে যেটা আমি বা আমাদের টিমের কেউই ক্যাপাবল না। আমরা সব সময় চেষ্টা করি চার মারার জন্য। আপনারা দেখবেন, আমাদের কিন্তু চারই বেশি হয়। ওরা ছয় বেশি মারে। এই পার্থক্যটা সবসময় থাকে।’

কয়েক মাস পরই বিশ্বকাপ। লিটন মনে করেন অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনে পাওয়ার হিটিংয়ের ঘাটতির কারণে অনেক ভুগতে হবে বাংলাদেশকে, ‘অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে মাঠ বেশ বড় থাকবে। এই জিনিসটা আমাদের অনেক ভোগাবে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উন্নতি করতে হবে। যাতে আমরা আত্মবিশ্বাস নিয়ে বিশ্বকাপে যেতে পারি।’