আপনি পড়ছেন

আবারো উত্তাল হয়ে পড়েছে শ্রীলঙ্কা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিক্ষোভকারীদের ওপর টিয়ার গ্যাস ছোড়ার পাশাপাশি কলম্বোতে কারফিউ জারি করেছে পুলিশ। এদিকে বিক্ষোভের ডাক দেওয়া ছাত্ররা যে কোনো মূল্যে আজকের কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানিয়েছেন। ফলে আজ শনিবার সেখানে বড় ধরনের অপ্রীতিকরণ ঘটনা ঘটার আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর হিন্দুস্তান টাইমস।

police use tear gasবিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্য করে টিয়ার গ্যাস ছুড়ছে পুলিশ

গতকাল শুক্রবার বিকেলে ছাত্রদের একটি বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিতে চায়। ছাত্ররা প্রেসিডেন্টের বাড়ি অভিমুখে একটি পদযাত্রার ঘোষণা দিয়েছে। এ অবস্থায় পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত কলম্বোতে কারফিউ জারি করা হয়েছে। গতকাল রাত নয়টায় এ কারফিউ শুরু হয়।

দীর্ঘদিন ধরে শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই খারাপ সময় পার করছে। বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতির কারণে অন্য দেশ থেকে কোনো কিছুই আমদানি করতে পারছে না দেশটির সরকার। ফলে এক ধরনের পঙ্গুই হয়ে গেছে দেশটি। জ্বালানি সংকট, খাদ্য সংকট, ওষুধসহ চিকিৎসা সামগ্রী সংকটসহ সব ক্ষেত্রেই অর্থনৈতিক মন্দার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

srilankan protest 1ছাত্রদের বিক্ষোভ কর্মসূচি

শ্রীলঙ্কার লোকজন দেশের এ পরিস্থিতির জন্য রাজাপাকসের পরিবারকে দায়ী করে। আন্দোলন বিক্ষোভের মুখে প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকশে পদত্যাগ করলেও পদ আঁকড়ে ধরে বসে আছেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকশে। তার বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত অনেক আন্দোলন হলেও তিনি তাতে ভ্রুক্ষেপ করেননি।

আজকের বিক্ষোভ কর্মসূচির ব্যাপারে তিনি মন্তব্য করেন, জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। সরকার শিগগিরই প্রয়োজনীয় সরবরাহ বিতরণ করতে শুরু করবে। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, একটি সময়ে যখন বিদ্যমান সমস্যাপূর্ণ পরিস্থিতির সফল সমাধান অর্জিত হয়েছে, তখন জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচি খুবই দুঃখজনক ও অপ্রীতিকর।

প্রেসিডেন্টের বাসভবন অভিমুখে পদযাত্রার আয়োজনকারী আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ফেডারেশনের সদস্য ওয়াসান্থা মুদালিগে বলেন, জ্বালানির লাইনে মানুষ মারা যাচ্ছে এবং তারা দিনে তিন বেলা খাবারের ব্যবস্থা করতে পারছে না। তাই আমরা এই সরকারের পতন চাই। এই প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আমরা হাল ছাড়ব না।

বিক্ষোভ ও পদযাত্রা কর্মসূচির আয়োজকরা জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীরা রাতে পথেই অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে। শনিবার তাদের সাথে স্বাস্থ্যসেবা কর্মী, ধর্মযাজক, ট্রেড ইউনিয়ন এবং বিরোধী সমর্থকরাসহ অন্যান্য বিক্ষোভকারীরা যোগ দেবেন।

তাদের এ কর্মসূচি ঠেকাতে পুলিশ শুক্রবার রাত নয়টা থেকে কলম্বো এবং বেশ কয়েকটি শহরতলীতে কারফিউ জারি করে। তবে কবে নাগাদ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে সে সম্পর্কে বিবৃতিতে কিছু বলা হয়নি। বরং তারা বলেছে, কারফিউর আওতায় থাকা এলাকায় বসবাসকারী ব্যক্তিদের বাড়িতে থাকা উচিত। কারফিউ ভঙ্গ করাকে জনশৃঙ্খলার ব্যাঘাত হিসাবে দেখা হবে এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কারফিউ বাস্তবায়ন করতে কলম্বোতে প্রায় ৩ হাজার পুলিশ এবং আধা-সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে এবং প্রধান পাবলিক ভবনগুলোর চারপাশে ব্যারিকেড দিয়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মুখপাত্র নলিন থালডুয়া।

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, শ্রীলঙ্কায় নিরাপত্তা বাহিনী প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার করে থাকে। এ কারণে শনিবারের কর্মসূচি নিয়ে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন।

শ্রীলঙ্কায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত জুলি চুং শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের অনুমতি দেওয়ার জন্য সেনাবাহিনী ও পুলিশকে আহ্বান জানিয়েছেন।

Get the latest world news from our trusted sources. Our coverage spans across continents and covers politics, business, science, technology, health, and entertainment. Stay informed with breaking news, insightful analysis, and in-depth reporting on the issues that shape our world.

360-degree view of the world's latest news with our comprehensive coverage. From local stories to global events, we bring you the news you need to stay informed and engaged in today's fast-paced world.

Never miss a beat with our up-to-the-minute coverage of the world's latest news. Our team of expert journalists and analysts provides in-depth reporting and insightful commentary on the issues that matter most.