তামিম: রিয়াদের কাজ প্রশংসা পায় না

সময় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হয়ে কথা বলছে না। ম্যাচের পর ম্যাচ ব্যাট হাতে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছেন। নেতৃত্বেও তাকে প্রায়ই দৃষ্টিকটুর মতো সিদ্ধান্ত নিতে দেখা যায়। এসব নিয়ে বেজায় চটেছেন ভক্তরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রিয়াদকে রীতিমতো ধুঁয়ে দিচ্ছেন ক্রিকেট পাগল মানুষেরা। এমন দুঃসময়ে তামিম ইকবালকে পাশে পেলেন বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলপতি।

রিয়াদ এবং তামিম

তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। কার্টেল ওভারের ম্যাচে ৫৫ বল হাতে রেখেই ক্যারিবিয়ানদের দেওয়া ১৫০ রানের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় তামিম ইকবাল বাহিনী। জয় সূচক রান আসে রিয়াদের ব্যাট থেকে।

৪১ রানে অপরাজিত ছিলেন এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। এজন্য খেলেছেন ৬১ বল। এর মধ্যে একবার বোল্ড হয়েও নো বলের কল্যাণে বেঁছে গেছেন। আরেকবার স্বাগতিকরা রিভিউ না নেওয়ায় পান নতুন জীবন। সুংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে সবশেষ ফিফটি করেছিলেন রিয়াদ। ওই ম্যাচের পর ১৯ ইনিংসে গতকালের ৪১ রানই তার সর্বোচ্চ। এর আগে রিয়াদের নেতৃত্বে নিকোলাস পুরানদের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে এখন সমালোচনার তুঙ্গে আছেন ময়মনসিংহের এই তারকা।

প্রথম ওয়ানডেতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ

প্রথম ওয়ানডের পর সংবাদ সম্মেলনে তামিম বলেন, ‘৩, ৪, ৫ নম্বর ব্যাটসম্যান (সাকিব, মুশফিক, ইয়াসির আলি) দলে ছিল না। এই তিনজন খেলোয়াড় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় রিয়াদ ভাইয়ের ২৫-৩০ রানও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। ব্যর্থতার পর আমরা যখন পেছনে ফিরে তাকাই, তখন শুধু ২৫ কিংবা ২৮ রান দেখি। ওই ২৫-২৮ রানের গুরুত্ব অনেক বেশি থাকে।’

তামিম আরও বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের কথা যদি বলি, রিয়াদ ভাইয়ের বড় ইনিংস খেলার সুযোগই ছিল না। এজন্য আমি মনে করি, উনার বিষয়টা একটু ভিন্নভাবে দেখা উচিত। উনার কাজ কখনই প্রশংসা পায় না। এক দুই ম্যাচ খারাপ করলে ওই জিনিসগুলো আমরা তুলে ধরি। ওই দিক থেকে যদি আমরা একটু শিখি তাহলে উনার ওপর থেকে চাপ কমে যায়।’