অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হলেন বিক্রমাসিংহে

শ্রীলঙ্কার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে। যতক্ষণ না পার্লামেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের উত্তরসূরি নির্বাচন করে, ততক্ষণ তিনি এই পদে বহাল থাকবেন। গোতাবায়া দেশের অর্থনৈতিক পতনের কারণে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।

শ্রীলঙ্কার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হলেন বিক্রমাসিংহে

শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টের স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা আবেবর্ধন বলেছেন, রাজাপাকসে বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্টের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন এবং আইনপ্রণেতারা শনিবার নতুন নেতা নির্বাচনের আহ্বান জানাবেন। তারা চাচ্ছেন, ২০২৪ সালে প্রেসিডেন্টের মেয়াদ শেষ হওয়া পর্যন্ত রনিল প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করুক।

নতুন প্রেসিডেন্ট নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করবেন। তবে পার্লামেন্টে তা অনুমোদনের প্রয়োজন হবে। গোতাবায়া রাজাপাকসে দেশ থেকে পালিয়ে গেলে বিক্রমাসিংহের ওপর চাপ বাড়তে থাকে। বিরোধীরা নতুন করে বিক্ষোভ শুরু করে। তাদের একটাই দাবি ছিল, রাজাপাকসেকে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে। বুধবার রাজাপাকসে শ্রীলঙ্কা থেকে পালিয়ে গেলে বিক্রমাসিংহে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন।

রাজাপাকসে বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুরে পৌঁছান এবং একইদিন তিনি তার পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন। এতে পতদ্যাগের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পন্ন হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, বিক্রমাসিংহে শুক্রবার প্রধান বিচারপতি জয়ন্ত জয়সুরিয়ার সামনে অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন।

শ্রীলঙ্কার ২ কোটি ২০ লাখ মানুষ এখন চরম হতাশার মধ্যে বসবাস করছে। দেশটিতে খাদ্য, সার, ওষুধ এবং জ্বালানির মতো মৌলিক পণ্যের ব্যাপক সংকট রয়েছে। এসব পণ্য আমদানির জন্য প্রয়োজনীয় অর্থও নেই।

রাজাপাকসের পদত্যাগের পর বিক্ষোভকারীরা দুধ-মিষ্টি-ভাত রান্না করে বিতরণ করেছে। লঙ্কানরা বিজয় উদযাপনে এ ধরনের খাবার বিতরণ করে থাকে। বিক্ষোভকারীদের অনেকেই গুঞ্জন তুলেছে, বিক্রমাসিংহেরও সরে যাওয়া উচিত।

অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মচারী ভেলাউয়নাথ পিল্লাই বলেন, আমি খুশি যে গোতাবায়া অবশেষে চলে গেছে। তার আগেই পদত্যাগ করা উচিত ছিল।

বিক্ষোভকারীদের মধ্যে যারা সরকারি ভবন দখল করেছিল তারা বৃহস্পতিবার পিছু হটেছে। রাজধানী কলম্বোর পরিবেশ এখন শান্ত। কিন্তু পার্লামেন্টে রাজনৈতিক বিরোধী দল সক্রিয় না থাকায় অনেক সমস্যার সমাধান হচ্ছে না।