২৭ মাস পর ফিরেই তাইজুলের বাজিমাত

সাকিব আল হাসান ওয়ানডে সিরিজে খেলবেন না জেনেই বাঁহাতি স্পিনের ব্যাকআপ হিসেবে তাইজুল ইসলামকে ওয়েস্ট ইন্ডিজে রেখে দিয়েছিল বাংলাদেশ দল। মূলত টি-টোয়েন্টিতে নিয়মিত পারফর্ম করা নাসুম আহমেদকেই প্রথম সুযোগটা দিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্ট। নাসুমও হতাশ করেননি। আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন।

২৭ মাস পর ফিরেই তাইজুলের ৫ উইকেট

গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামের ২২ গজ স্পিন নির্ভর। আর বরাবরই ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানরা স্পিনের থরহরি কম্পমান। ক্যারিবিয়ানদের এই দুর্বলতা ঘরের মাটিতে সবসময় কাজে লাগায় বাংলাদেশ। এবার গায়ানায় একই কৌশলের সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে মরিয়া হয়ে ওঠে টাইগাররা। একাদশে একজন পেসার কমিয়ে বাড়ানো হয় স্পিনার। যেন মিরপুরেই খেলছে বাংলাদেশ দল। শরীফুল ইসলামকে একাদশ থেকে ছেঁটে সুযোগ দেওয়া হয় বাঁহাতি স্পিনার তাইজুলকে।

নাসুম, তাইজুল, মিরাজ, মোসাদ্দেক মিলে বোলিং আক্রমণটা পুরো স্পিন নির্ভর। একমাত্র পেসার মুস্তাফিজুর রহমান স্লোয়ার-কাটারে অভ্যস্ত। তার স্লোয়ারকে একটু বেশি গতির স্পিন বললেও ভুল হবে না।

এমন স্পিন জাদুর প্রদর্শনীতে নিজেকে মেলে ধরেছেন তাইজুল। অভিজ্ঞ এ স্পিনার ২৭ মাস পর ওয়ানডে খেলতে নেমেই ৫ উইকেট তুলে নিয়েছেন। এটি তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম ৫ উইকেট। ১০ ওভারে ২ মেডেনসহ ২৮ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল। যার মধ্যে তিনটিই বোল্ড। এই ম্যাচের আগে সর্বশেষ একদিনের ক্রিকেটে খেলেছেন ২০২০ সালের মার্চে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে সিলেটে। যেটি মাশরাফির বিদায়ী সিরিজ ছিল।

শনিবার গায়ানায় বাংলাদেশের হয়ে তাইজুলের ওয়ানডে ম্যাচ খেলার সংখ্যাটাও দুঅঙ্কের ঘর স্পর্শ করেছে। ৮ বছরে ১০ ম্যাচ খেলেছেন তিনি। ২০১৪ সালে অভিষেকেই মিরপুরে হ্যাটট্রিক করেছিলেন তাইজুল।

গায়ানায়ও দারুণ শুরু পেয়েছেন তিনি। প্রত্যাবর্তনের পর প্রথম বলেই ব্রেন্ডন কিংকে বোল্ড করেছেন। পরে শাই হোপকে ফ্লাইটে পরাস্ত করেছেন, দুর্দান্ত স্ট্যাম্পিং করেছেন নুরুল হাসান সোহান। বোল্ড করেছেন রোভম্যান পাওয়েলকে। শাই হোপের আউটের পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে স্ট্যাম্পিং হয়েছেন কিমু পেল। নিজের কোটার শেষ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুইশ’ রানের স্বপ্নটা নষ্ট করে দেন তাইজুল। উইন্ডিজ অধিনায়ক নিকোলাস পুরান বোল্ড হন এই বাঁহাতির ঘূর্ণিতে।

তাইজুলের স্পিন বিষে নীল হওয়ার পরও ৪৮.৪ ওভারে ১৭৮ রান করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জয়ের জন্য বাংলাদেশের টার্গেট ১৭৯ রান। এই রানটা করলেই স্বাগতিকদের হোয়াইটওয়াশ নিশ্চিত করবে তামিম বাহিনী।

পুরান ৭৩, কার্টি ৩৩, রোভম্যান পাওয়েল ১৮, শেপার্ড ১৯ রান করেন। বাংলাদেশের হয়ে নাসুম, মোস্তাফিজ ২টি করে এবং মোসাদ্দেক ১টি উইকেট পান।