আরো ৬১ মার্কিন নাগরিকের ওপর ইরানের নিষেধাজ্ঞা

ইরান জানিয়েছে, তারা আরো ৬১ জন মার্কিন নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ইরানী ভিন্নমতাবলম্বী গোষ্ঠীকে সমর্থন করার কারণে গতকাল শনিবার তাদের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। খবর আরব নিউজ ও রয়টার্স।

মাইক পম্পেও ও জন বোল্টন

ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে খবরে বলা হয়, ইরানের নির্বাসিত ভিন্নমতাবলম্বী গোষ্ঠী মুজাহিদিন-ই-খালককে সমর্থন জানানোর জন্য সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওসহ আরও ৬১ আমেরিকানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এ তালিকায় উল্লেখযোগ্য অন্য ব্যক্তিরা হলেন- সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অ্যাটর্নি রুডি গিলিয়ানি এবং হোয়াইট হাউসের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন প্রমুখ।

ইরানের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, গিলিয়ানি, পম্পেও ও বোল্টন ব্যাপকভাবে মুজাহিদিন-ই-খালকের বিভিন্ন ইভেন্টে অংশ নিয়েছেন এবং তাদের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। ফলে তেহরান তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

ইরান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক

এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ইরান ৫১ মার্কিন নাগরিকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। গত এপ্রিলে আরো ২৪ জনকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়। এবার সে তালিকায় ঢুকেছে ৬১ জনের নাম।

২০১৫ সালে ইরানের পরমাণু অস্ত্র নিয়ে ছয় জাতিগোষ্ঠীর সাথে একটি চুক্তি সই হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তখন চুক্তিতে সই করেছিলেন। ২০১৮ সালে পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চুক্তিটি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেন। অভিযোগ করেন, ইরানের জন্য এটি খুবই নমনীয় একটি চুক্তি। এই চুক্তি থেকে বের হয়েই ইরানের ওপর বেশ কিছু কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন ট্রাম্প।

চুক্তির শর্ত ভঙ্গ হওয়ায় ইরানও আগের মতো ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের কাজ করতে থাকে। বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর থেকে ওই চুক্তি আবারো বলবৎ করার চেষ্টায় নামেন। সম্প্রতি ইরানের এই চুক্তি থেকে সরে যাওয়াকে ট্রাম্পের সবচেয়ে বড় ভুল ছিল বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, এর ফলেই ইরান এখন অনেক বেশি বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে।

চুক্তিটি আবারো বলবৎ করতে গত নভেম্বরে ইরানের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের পরোক্ষ আলোচনা শুরু হয়। কিন্তু তাতে এখন পর্যন্ত অগ্রগতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।