মিয়ানমারে বাস্তুচ্যুত ২ হাজার রোহিঙ্গা মুসলমান

বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী দেশ মিয়ানমারের একটি গ্রামে প্রায় ২ হাজার মুসলমানকে বাস্তুচ্যুত করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সাম্প্রতিক সময়ে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ওপর রক্তাক্ত হামলার জন্য তারা সন্দেহ করছে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিভিন্ন সংগঠনকে। তারই প্রেক্ষিতে এই ধরনের নির্মম পদক্ষেপ নিচ্ছে সেনাবাহিনী।

গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, রোববার মিয়ানমারের সেনারা দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় 'মান্দালাই' নামের প্রদেশে 'কি কান পিন' গ্রামে অভিযান চালায়। এরপর সেখানকার মুসলমান অধিবাসীদের প্রাম ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয় সেনাসদস্যরা। গ্রাম ত্যাগের সময় নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু জিনিসপত্র ছাড়া রোহিঙ্গাদের আর কিছু সঙ্গে নিয়ে যেতে দেয়া হয়নি।

জানা গেছে, গ্রাম ছাড়া, গৃহহীন এসব মুসলমান বর্তমানে পাশের বন-জঙ্গল ও ধানের ক্ষেতে অমানবিক জীবন-যাপন করছে। উচ্ছেদ হওয়া একজন মুসলমান জানান, 'রোববার বিকালে আমাকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হয়। এরপর থেকেই পরিবাদের নিয়ে ধানক্ষেতে অবস্থান করছি। এখানো আরো প্রায় দুই শত মানুষ রয়েছে।

তিনি বলেন, 'সেনাবাহিনী গ্রামে ঘুকেই সবাইকে ঘর ছেড়ে চলে যেতে বলেন। তাদের কথা অনুযায়ী কাজ না করলে গুলি করে মারা হবে বলে হুমকি দেয়।' মিয়ানমার সরকারের একজন মুখপাত্র বলেন, গ্রামটি মিয়ানমারের সেনা অভিযানের একটি 'রেড জোন' চিহ্নিত। হয়তো সেখানে গুরুত্বপূর্ণ কোন অভিযান চালানো হচ্ছে। এই মুহূর্তে ওই গ্রামের কারো সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।'

চলতি মাসের ৯ তারিখ মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রাখাইন প্রদেশের মুংগডু এবং পার্শ্ববর্তী রাতেডং শহরে সন্ত্রাসী হামলায় মিয়ানমারের ১৩ জন সীমান্তরক্ষী প্রাণ হারায়। এরপর থেকেই সেই রাজ্যে শুরু হয় সংঘর্ষ। ধরপাকড় আর পুলিশি অভিযানে এখন পর্যন্ত সামরিক-বেসামরিক মিলিয়ে কমপক্ষে অর্ধশতাধিক মানুষ মারা গেছেন। মিয়ানমারের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযোগ করছে, রোহিঙ্গা মুসলমানরাই হামলাটি চালিয়েছে।

আপনি আরো পড়তে পারেন

তালাকপ্রাপ্ত আসমার পাশে ভারতের ৫০ গ্রাম

জাতিসংঘ: আফগানিস্তানে আফিম উৎপাদন ৪৩% বেড়েছে

ইঁদুর খেয়ে বেঁচেছিলেন সোমালিয়ায় বন্দী নাবিকরা

পাকিস্তানে পুলিশ প্রশিক্ষণ কলেজে হামলা, নিহত ৫৯ আহত ১১৭

মদ বিক্রি নিষিদ্ধ করলো ইরাকের পার্লামেন্ট