সিঙ্গাপুরে মাত্র দুই সপ্তাহের পাস পেলেন গোতাবায়া

শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসেকে সিঙ্গাপুরে দুই সপ্তাহের ভিজিট পাস দেওয়া হয়েছে। দেশে বিক্ষোভের মুখে পালিয়ে যাওয়ার পর সিঙ্গাপুর পৌঁছলে তাকে স্বল্পমেয়াদী এই পাস দেয়া হয়। খবর দ্য হিন্দু।

গোতাবায়া রাজাপাকসে

দীর্ঘদিন ধরে শ্রীলঙ্কায় অথনৈতিক সঙ্কট চলছিল। এক পর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা রাষ্ট্রের শীর্ষ দুই পদে থাকা দুই ভাই প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে এবং প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের পদত্যাগ দাবি করেন। পরিস্থিতি বিবেচনায় মন্ত্রিসভা পদত্যাগ করলেও ক্ষমতা ছাড়তে অস্বীকৃতি জানান প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া। পরে নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেওয়া হয় রনিল বিক্রমাসিংহেকে।

কিন্তু পরিস্থিতির কোনো উন্নতি না হওয়ায় আবারো বিক্ষোভে নামে আন্দোলনকারীরা। তাদের মূল দাবি ছিল প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের পদত্যাগ। বিক্ষোভকারীদের ঠেকাতে কারফিউ জারি করা হয়। এই ফাঁকে নিজ বাসভবন ছেড়ে পালিয়ে যান গোতাবায়া রাজাপাকসে। অন্যদিকে কারফিউ ভেঙে বিক্ষোভকারীরা গোতাবায়ার বাসভবন দখল করে নেয় এবং প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহের বাসভবনে আগুন লাগিয়ে দেয়।

গোতাবায়ার বাসভবনে বিক্ষোভকারীরা

পরিস্থিতি বিবেচনায় গোতাবায়া প্রথমে কয়েকদিন দেশের অভ্যন্তরেই লুকিয়ে ছিলেন। পরে তিনি ও তার সঙ্গীরা মালদ্বীপ চলে যান। সেখানেও তারা প্রবাসী শ্রীলঙ্কানদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন। একদিনের মাথায় চলে যান সিঙ্গাপুরে। সেখানে তারা স্থায়ীভাবে অবস্থান করবেন কি-না এমন প্রশ্নে সিঙ্গাপুর সরকার জানিয়েছিল, এমন কোনো আবেদন গোতাবায়ার পক্ষ থেকে আসেনি। তারাও সে ধরনের কোনো কিছু বিবেচনা করেননি।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র তখন বলেছিলেন, গোতাবায়া রাজাপাকসে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেননি। ফলে সে ধরনের প্রশ্নই ওঠে না।

এ অবস্থায় গতকাল সিঙ্গাপুর অভিবাসন কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে স্পষ্ট করে জানায়, গত ১৪ জুলাই শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে ব্যক্তিগত সফরে সিঙ্গাপুর আসেন। তখন তাকে ১৪ দিনের স্বল্পমেয়াদী সফরের পাস দেওয়া হয়েছে।

এর ফলে রাজপাকসের পরবর্তী গন্তব্য কোনটি হতে পারে তা নিয়ে জল্পনা কল্পনা চলছে। কেউ বলছে, তিনি সৌদি আরবে আশ্রয় নিতে পারেন। আবার একটি পক্ষ বলছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতই তার পরবর্তী গন্তব্য হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কোনো কিছুই জানা যায়নি।