বর্ষসেরার লড়াইয়ে সালাহ-মানে-মেন্ডি

গত মৌসুমটা দারুণ কেটেছে তিন তারকা ফুটবলার মোহাম্মদ সালাহ, সাদিও মানে ও এডোয়ার্ড মেন্ডির। আফ্রিকার বর্ষসেরার লড়াইটা হচ্ছে এই তিনজনের মধ্যেই। বৃহস্পতিবার রাতে মরোক্কোর শহর রাবাতে সেরা হিসেবে একজনের নাম ঘোষণা করা হবে। কার হাতে উঠবে শেষ্ঠত্বের মুকুট? সালাহ, মানে নাকি মেন্ডির হাতে?

সালাহ-মানে-মেন্ডি

এই ত্রয়ীর মধ্যে অবশ্য ফেভারিট মানে। লিভারপুলের হয়ে মৌসুমজুড়ে পারফর্ম করেছেন তিনি। তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের সুবাদে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের রানার্সআপ হিসেবে মৌসুম শেষ করেছে অল রেডরা। ইংলিশ ক্লাবটি উঠেছে উয়েফা চাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে। তবে দুজনই লিভারপুলের হয়ে জিতেছেন ইংলিশ লিগ কাপ ও এফএ কাপের শিরোপা।

ক্লাব ফুটবলে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে কিছুটা এগিয়ে আছেন সালাহ। ব্যবধান গড়ে দিতে পারে দুজনের জাতীয় দলে অর্জন ও পারফরম্যান্স। এ বছর মানের হাত ধরেই আফ্রিকান নেশনস কাপের স্বপ্নপূরণ হয়েছে সেনেগালের। প্রতিযোগিতায় দেশটির এটাই প্রথম শিরোপা। হয়তো চ্যাম্পিয়ন হতে পারতো সালাহর মিশরও। কিন্তু ফাইনালে টাইব্রেকারে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয় তাদের। ওই সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন সালাহ।

দুজনের আরো একবার দেখা হয়েছে। সেটা কাতার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের প্লে-অফ রাউন্ডে। সেখানেও মানের সেনেগাল বাজিমাত করেছে। সালাহর মিশরকে কাঁদিয়ে বিশ্বকাপের টিকিট কাটে তারা। এসব সাফল্যই মানেকে আফ্রিকার বর্ষসেরা পুরস্কারের দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে দিয়েছে। সালাহ হতে পারেন রানারআপ। দ্বিতীয় রানারআপের পুরস্কার পেতে পারেন মেন্ডি। কারণ দলীয় কোনো শিরোপা নেই তার।

লিগ কাপ ও এফএ কাপের ফাইনালে মেন্ডির ক্লাব চেলসি হেরেছে মানে-সালাহর লিভারপুলের কাছে। তাই মূল লড়াইটা হচ্ছে দুই ক্লাব সতীর্থের মধ্যে। রাবাতের গালায় আফ্রিকান বর্ষসেরা ফুটবলার (নারী+পুরুষ) ছাড়াও পুরস্কার দেওয়া হবে বর্ষসেরা গোল, বর্ষসেরা জাতীয় দল, বর্ষসেরা খেলোয়াড়, কোচ ও তরুণ খেলোয়াড়ের।