বিসিবি: এশিয়া কাপের ভাবনায় আছেন মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ

টি-টোয়েন্টি দল নিয়ে বিসিবির নতুন চিন্তা-ভাবনার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে জিম্বাবুয়ে সফরের মধ্য দিয়ে। শুক্রবার ঘোষিত দলটায় ঠাঁই হয়নি দুই সিনিয়র ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। গত কিছুদিন ধরেই গুঞ্জন ছিল, তাদের দুজনকে বাদ দেওয়া হবে এই ফরম্যাট থেকে। যার প্রতিফলনই দেখা গেল জিম্বাবুয়ে সফরের দলে।

মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ

গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরই বাদ পড়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। পরে আফগানিস্তান সিরিজে আবারও দলে ফেরেন। এ ফরম্যাটে তার পারফরম্যান্স সন্তোষজনক ছিল না। অধিনায়কের পদে থাকা মাহমুদউল্লাহও ছিলেন আতশী কাচের নিচে। দল ভালো করছিল না, তার ব্যাটেও রান নেই। সবমিলিয়ে তাদের দুজনকে ছেঁটে ফেলতে দ্বিধা করেনি বিসিবি।

রাজধানীর এক হোটেলে শুক্রবার মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে মিটিং করেছেন বিসিবির পরিচালক, নির্বাচকরা। নিজেদের ভাবনার কথা অভিজ্ঞ এ ক্রিকেটারকে বলেছেন বিসিবির কর্তারা। বিসিবির চাওয়া না মেনে উপায়ও ছিল না মাহমুদউল্লাহর। যদিও সংবাদমাধ্যমের সামনে বিসিবি বেশ সম্মান দিয়েছে এই সিনিয়র ক্রিকেটারদের। এ ফরম্যাটে তাদের অধ্যায় শেষ হয়ে গেছে, সেটা বুঝতে বাকি নেই।

অবশ্য বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেছেন, ঘোষিত দলটা শুধু জিম্বাবুয়ে সফরের জন্য। এশিয়া কাপের ভাবনায় আছেন তারা। এই বুলি যে শুধুই আপাত সমালোচনার ঝড় ঠেকাতে, সেটা দ্বিতীয়বার বলতে হবে না কোনো ক্রিকেটপ্রেমীকেও।

শুক্রবার জালাল ইউনুসের ভাষ্য ছিল এমন, ‘এশিয়া কাপের ভাবনায় তারা (মাহমুদউল্লাহ, মুশফিক) আছে। পরেরটা আমরা পরে চিন্তা করব। শুধুমাত্র জিম্বাবুয়েতে আমরা এই টি-টোয়েন্টি দলটাকে দেখতে চাচ্ছি। আমরা এটাকে পরীক্ষামূলক দল বলছি না, কারণ এই সংস্করণে আমরা ভালো করছি না। সামনে ভালো করতে পারব কি না আমরা জানি না। তবে চেষ্টা করছি। দেখি আমরা, নতুনরা কী করে।’

জিম্বাবুয়ে সফরের আগামী ২৭ আগস্ট থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে এশিয়া কাপ খেলবে বাংলাদেশ দল।

শুধু জিম্বাবুয়ে সফরের জন্য সোহানকে অধিনায়ক করা হয়েছে। কারণ এশিয়া কাপ থেকে নেতৃত্বে আসবেন সাকিব আল হাসান। নতুনদের দেখতেই নাকি মাহমুদউল্লাহ-মুশফিককে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে বলছেন জালাল ইউনুস, ‘টি-টোয়েন্টিতে (মাহমুদউল্লাহ) রিয়াদ আমাদের অধিনায়ক ছিল। কয়েকদিন ধরে আলোচনা চলছিল অধিনায়কত্ব ইস্যু নিয়ে। সম্মানের সঙ্গে আমরা রিয়াদকে ডেকেছিলাম, টি-টোয়েন্টি দল নিয়ে আলাপ করেছি। তার সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, এবার আমরা একটা নতুন দল পাঠাতে চাচ্ছি জিম্বাবুয়েতে। এরমধ্যে কিছু সিনিয়র খেলোয়াড়ও থাকছে না। আসলে দেখার জন্য তাদেরকে (তরুণদের) পাঠানো হচ্ছে।’

এই পরিচালকের মতে সিনিয়রদের জানিয়েই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে বিসিবি, ‘এই দলটাকে সামলানোর জন্য সোহানকে অধিনায়কত্ব দিচ্ছি। সেটা আমরা আজকে মাহমুদউল্লাহকে জানিয়ে দিয়েছি। মুশফিকও জানে, সাকিবও জানে। তাদের জায়গায় আমরা নতুন খেলোয়াড় নিয়ে চেষ্টা করছি। এটা শুধু জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য দেখতে চাচ্ছি তাদের পারফরম্যান্স কি হয়। সেটা দেখার জন্য আপনারা বলতে পারেন নতুন ব্র্যান্ডের একটা দল যাচ্ছে।’

তবে অধিনায়ক হিসেবে সোহানের প্রতি পূর্ণ আস্থা রাখছে বিসিবি, জালাল ইউনুস জানান, ‘সোহান ঘরোয়া ক্রিকেটে নেতৃত্ব দিয়েছে। ওর মধ্যে আমরা লিডারশিপ কোয়ালিটি দেখেছি। ঘরোয়া ক্রিকেটে সে পরীক্ষিত একজন অধিনায়ক। অনুপ্রাণিত করার সামর্থ্য আছে।’