ডোভার বন্দরে বিশৃঙ্খলা, যুক্তরাজ্য-ফ্রান্স ঠেলাঠেলি

ব্রেক্সিট-পরবর্তী যুক্তরাজ্যের সীমান্তগুলোতে কঠোর তল্লাশি অব্যাহত রাখার ফলে দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডের ডোভার বন্দরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে। ভ্রমণকারীরা সীমান্ত অতিক্রম করতে গিয়ে সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। জটলা তৈরি হচ্ছে। পর্যটকদের দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। অবশ্য এর জন্য ফ্রান্সকে দায়ী করেছে যুক্তরাজ্য। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

লিজ ট্রাস

দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাসের অভিযোগ, ফরাসি কর্তৃপক্ষ বর্ডার পোস্টে পর্যাপ্ত কর্মকর্তা না রাখায় ডোভার বন্দরে এই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে। স্কাই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাতৎকারে এই মত ব্যক্ত করেন তিনি।

গতকাল শনিবার লিজ ট্রাস অভিযোগ করেন, ডোভার বন্দরে অনেক ভ্রমণকারী নিজেরাই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। এর জন্য ফ্রান্স দায়ী। এটি এমন একটি পরিস্থিতি যা সীমান্তে লোকবল সংকটের কারণে ঘটছে এবং এ সমস্যা ফরাসি কর্তৃপক্ষকেই মোকাবেলা করতে হবে। তবে ফ্রান্স পাল্টা দাবি করেছে, ব্রেক্সিটের কারণে এই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে।

ব্রেক্সিট

বেক্সিট কেন দায়ী: ফরাসি কর্তৃপক্ষ ব্রিটিশ সরকারের দাবি প্রত্যাখ্যান করে জানিয়েছে, ব্রেক্সিট এবং সীমান্ত চেকপোস্ট স্থাপনে বিলম্বই এই বিশৃঙ্খলার প্রধান কারণ। যুক্তরাজ্যের সীমান্তে কর্মরত সরকারী ইউনিয়ন আইএসইউ জানিয়েছে, ব্রেক্সিটের ফলে দেশের সীমান্তে কঠোর তল্লাশি চালু হয়েছে।

আইএসইউ কর্মকর্তা লুসি মর্টন বলেন, চেক পয়েন্টগুলো এখন আগের চেয়ে আরও কঠোর। ব্রেক্সিটের আগে যুক্তরাজ্যে প্রবেশের অধিকার ছিল সবার। তখন খুব কম চেক ছিল। বিশেষ করে ফ্রান্সের নাগরিকদের ক্ষেত্রে প্রায় কোনোই চেকআপ করা হতো না।

লুসি মর্টন বলেন, যুক্তরাজ্য এখন ইইউভুক্ত দেশ নয়। এজন্য সকল ভ্রমণকারীদের মতো ফ্রান্সের নাগরিকদের সাথেও একই আচরণ করা হচ্ছে। গত শুক্রবার ডোভার বন্দরে ফ্রান্স, বেলজিয়াম এবং নেদারল্যান্ডসে প্রবেশের জন্য ভ্রমণকারীরা প্রধান টার্মিনালে জড়ো হয়। এদিন যাত্রীদের ছয় ঘণ্টা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। আর এর ফলে যুক্তরাজ্য-ফ্রান্স বাগযুদ্ধ শুরু হয়।