চীনকে চ্যালেঞ্জ জানাতে নিউজিল্যান্ডকে পাশে চায় যুক্তরাষ্ট্র

প্রশান্ত মহাসাগরে চীনকে চ্যালেঞ্জ দিতে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। চীনকে টেক্কা দিতে এবার নিউজিল্যান্ডের সাথে শক্তিশালী বন্ধন গড়ে তুলতে চায় দেশটি। মার্কিন ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ডের কমান্ডার জন অ্যাকুইলিনোর আজ সোমবার সাংবাদিকদের এসব কথা জানিয়েছেন। তিনি এখন ওয়েলিংটন সফরে রয়েছেন। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

জন অ্যাকুইলিনো

প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান উচ্চাকাঙ্ক্ষার বিষয়ে গভীর উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের উপস্থিতি বাড়াতে ওয়েলিংটন সফর করছেন কমান্ডার অ্যাকুইলিনো। নিউজিল্যান্ডে তাকে একটি ঐতিহ্যবাহী মাওরি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্বাগত জানানো হয়।

নিউজিল্যান্ডের প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের আগে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলেন মার্কিন কমান্ডার। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র-নিউজিল্যান্ড অংশীদারিত্ব খুব গভীর। এই অঞ্চলের সমস্ত দেশের জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে একসাথে কাজ করতে চাই আমরা।

চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা

কমান্ডার অ্যাকুইলিনো বলেন, প্রশান্ত মহাসাগরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিউজিল্যান্ডের সাথে কাজ করতে চায়। এজন্য নতুন অঞ্চল চিহ্নিতকরণ এবং কর্মপন্থা নির্ধারণ করতেই তার এই সফর। প্রশান্ত মহাসাগরে অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের নেতৃত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

অ্যাকুইলিনো বলেন, আমরা প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে কোনো দেশকেই ছোট হিসেবে দেখতে চাই না। এ অঞ্চলে খাদ্য ও পানির নিরাপত্তাসহ দ্বীপ দেশগুলোতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় আমরা অংশ নিতে চাই। দ্বীপ দেশগুলো যাতে একচেটিয়াভাবে এ অঞ্চলে মাছ ধরার অধিকার পায় সেই বিষয়টি নিয়েও চিন্তা করছি আমরা।

নিউজিল্যান্ডের প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান এয়ার মার্শাল কেভিন শর্ট বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে নিউজিল্যান্ডের সম্পর্ক কয়েক দশক ধরে শক্তিশালী রয়েছে। নিয়মিত মার্কিন বাহিনীর সাথে যোগাযোগ রাখতে চাই এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যৌথ ভূমিকা রাখতে চাই।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের সাথে একপ্রকার লড়াইয়ে লিপ্ত হয়েছে। কারণ চীন আগে থেকেই এই অঞ্চলকে টার্গেট করে ঘাঁটি স্থাপন করতে চাইছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র সহজেই তা মেনে নিতে রাজি নয়। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড চীনকে মোকাবেলায় ইতোমধ্যে রাজিও হয়েছে।