ইরান: পরমাণু বোমা তৈরির সক্ষমতা আছে, কিন্তু ইচ্ছে নেই

পরমাণু বোমা তৈরির প্রযুক্তিগত সক্ষমতা ইরানের রয়েছে, তবে তা করার কোনো ইচ্ছা নেই। দেশটির পরমাণু শক্তি সংস্থার প্রধান মোহাম্মদ ইসলামি গতকাল সোমবার (১ আগস্ট) এ কথা বলেছেন। খবর দ্য ডন।

ইরানের একটি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কারখানা

ইরানের আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা ফারস নিউজ এজেন্সি এক প্রতিবেদনে জানায়, গত জুলাই মাসে সুপ্রিম লিডার আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির সিনিয়র উপদেষ্টা কামাল খাররাজি পরমাণু অস্ত্র বিষয়ে যে মন্তব্য করেছিলেন, মোহাম্মদ ইসলামি সেই মন্তব্য পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

ইসলামি বলেন, কামাল খাররাজি যা বলেছেন আমি সেটাই বলতে চাই। আর সেটা হলো, ইরানের পরমাণু বোমা তৈরির প্রযুক্তিগত সক্ষমতা রয়েছে, তবে এই জাতীয় কর্মসূচি তাদের এজেন্ডায় নেই।

ইরানের একটি পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র

ইরান জানিয়েছে, তারা এ পর্যন্ত ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বিচ্ছিন্ন বিশুদ্ধতায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে সক্ষম হয়েছে। ২০১৫ সালে বিশ্বশক্তির সঙ্গে তেহরানের পরমাণু চুক্তির অধীনে যে সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল এটি তার তুলনায় তিন দশমিক ৬৭ শতাংশ বেশি। ৯০ শতাংশ পর্যন্ত সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম পরমাণু বোমার জন্য উপযুক্ত।

২০১৫ সালে বিশ্বশক্তির সঙ্গে তেহরানের যে পরমাণু চুক্তি হয়েছিল, তা থেকে ২০১৮ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বেরিয়ে আসেন এবং ইরানের ওপর ফের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।

চুক্তির এই ব্যত্যয় ইরানকে আবারো ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের দিকে চালিত করে। বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর চুক্তিটি পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করছেন। এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে পরোক্ষভাবে ইরানের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এ বৈঠকে এখন পর্যন্ত আশাবাদী হওয়ার মতো কিছু পাওয়া যায়নি।

তেহরান দাবি করছে, ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে এমন গ্যারান্টি দেওয়া উচিত যে, কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট যেন ইচ্ছে করলেই এ চুক্তি পরিত্যাগ করতে না পারেন। তবে বাইডেনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তিনি ইচ্ছে করলেই এই প্রতিশ্রুতি দিতে পারেন না। কারণ পরমাণু চুক্তি একটি রাজনৈতিক বোঝাপড়া, আইনত বাধ্যতামূলক কোনো বিষয় নয়।