চীন রাজি হলে সিপিইসি কর্তৃপক্ষকে ভেঙে দেবে পাকিস্তান

বিলিয়ন ডলারের উন্নয়ন প্রকল্প পরিচালনাকারী চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিইসি) কর্তৃপক্ষকে ভেঙে দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান। এই প্রকল্পের আওতায় পাকিস্তানের গিলগিট বাল্টিস্তানে ভূমি সংক্রান্ত বিষয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে স্থানীয়রা বিক্ষোভ করছে। প্রকল্পের নামে সেনাবাহিনীর ‘জমি দখলের পায়তারা’ নিয়ে স্থানীয় জনগণ ক্ষুব্ধ।

চীন রাজি হলে সিপিইসি কর্তৃপক্ষকে ভেঙে দেবে পাকিস্তান

জমি সংক্রান্ত বিষয়ে স্থানীয়দের এই প্রতিবাদের পরই এ সিদ্ধান্ত নিচ্ছে পাকিস্তান। সিপিইসি কর্তৃপক্ষকে গুটিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের পুরোনো নীতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। এমনকি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন পিটিআই সরকারও এই কর্তৃপক্ষকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দিতে দুই বছর সময় নিয়েছিল।

স্থানীয় সম্প্রদায়গুলো দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, পাকিস্তান প্রকৃতপক্ষে সিপিইসি এবং এর নিরাপত্তার আড়ালে চীনের কাছে পুরো গিলগিট বাল্টিস্তানকে পরবর্তী অর্ধ শতাব্দীর জন্য লিজ দিয়েছে। কয়েক হাজার চীনা নাগরিক ইতোমধ্যেই এই অঞ্চলে সিপিইসি প্রকল্পে কাজ করছে। তাদের সঙ্গে শত শত চীনা গুপ্তচর এবং সামরিক সদস্য স্থানীয়দের ওপর নজরদারির পাশাপাশি চীনা কোম্পানিগুলোকে নিরাপত্তা দিচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ বুধবার নীতিগতভাবে চীনের সম্মতি সাপেক্ষে সিপিইসি অথরিটি বাতিলের পদক্ষেপের অনুমোদন দিয়েছেন। সিপিইসি প্রকল্পের উন্নয়নের বিষয়টি স্বীকার করে পরিকল্পনা ও উন্নয়ন মন্ত্রী আহসান ইকবাল বলেছেন, “সিপিইসি প্রকল্পের স্বার্থে এই কর্তৃপক্ষকে ভেঙে দেওয়া উচিত। চীনা কর্তৃপক্ষ তাদের সম্মতি দিলেই সিপিইসি কর্তৃপক্ষ আইন বাতিল করা হবে।”

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের সূত্র বলছে, চীন সিপিইসি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া সম্পর্কে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ সিদ্ধান্ত গ্রহণে হস্তক্ষেপ করেনি।

ইকবাল বলেন, “সিদ্ধান্ত গ্রহণের শৃঙ্খলা ভেঙে যাওয়ায় প্রকল্পগুলোর দ্রুত বাস্তবায়নে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে সিপিইসি কর্তৃপক্ষ। এই ক্ষেত্রে পরিকল্পনা ও উন্নয়ন মন্ত্রণালয় এখন সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। সিপিইসি প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন সহায়ক অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের হাতে থাকবে।”