উচ্চ গরমে দক্ষিণ চীনে হুমকির মুখে ফসল, সতর্কতা জারি

বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীন এই গ্রীষ্মে রেকর্ড তাপমাত্রা, আকস্মিক বন্যা এবং খরায় একপ্রকার নাস্তানাবুদ হয়ে গেছে। বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন, জলবায়ু সংকটের কারণে এসব সংকট আরও তীব্র থেকে তীব্রতর হতে পারে। উচ্চ তাপমাত্রা এবং খরায় গুরুতর হুমকির মুখে রয়েছে চীনের দক্ষিণাঞ্চলের ফসল। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

চীনে ৬০ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে তাপমাত্রা

কর্তৃপক্ষ সতর্ক করেছে, রেকর্ড তাপমাত্রার মুখে থাকা ফসলগুলো সতর্কতার সাথে রক্ষা করতে হবে। যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে ফসলগুলো নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ওঠানামা করছে। বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ছে দাবানল।

চারটি সরকারি বিভাগ মঙ্গলবার একযোগে একটি নোটিশ জারি করে। নোটিশে বলা হয়, ফসল রক্ষার জন্য সেচ এবং ক্লাউড সিডিংসহ সতর্কতামূলক পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে, যাতে একফোঁটা পানিও নষ্ট না হয়।

চীনের পতাকা

কৃষি মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, চীনে ৬০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। দেশটির দক্ষিণাঞ্চল চরম উচ্চ তাপমাত্রা এবং বৃষ্টিহীনতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। উচ্চ তাপমাত্রার কারণে ভয়াবহ খরা আরও বেশি অঞ্চলজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে শরতের ফসল উৎপাদনে মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করেছে।

দেশটির জরুরি প্রতিক্রিয়া: একাধিক চীনা প্রদেশ জ্বালানি সংকট মোকাবেলায় বিদ্যুতের ব্যবহার কমানোর ঘোষণা দিয়েছে। সাধারণভাবে লোকেরা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় মানিয়ে নিতে এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহার বাড়িয়ে দিচ্ছে।

সাংহাই এবং চংকিং-এর মেগাসিটিগুলো বাইরের সাজসজ্জা কমিয়ে দিয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় সিচুয়ান প্রদেশের কর্তৃপক্ষ জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে জলের স্তর নেমে যাওয়ার কারণে শিল্প-কারখানায় বিদ্যুতের ব্যবহার কমানোর নির্দেশনা দিয়েছে।

রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানায়, গরম ও শুষ্ক অবস্থার কারণে একাধিক দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে গতকাল সোমবার চংকিং-এর আশেপাশের এলাকার দেড় হাজারের বেশি মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবা খরা এবং উচ্চ তাপমাত্রার জন্য সতর্কতা নবায়ন করেছে। ১১টি প্রাদেশিক সরকারকে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে।