উয়েফার বর্ষসেরা বেনজেমা

প্রথমবারের মতো যে করিম বেনজেমার হাতে উয়েফা বর্ষসেরার পুরস্কার উঠবে খবরটা ছড়িয়ে গেছে আগেই। অনুমিতভাবেই উয়েফার সেরার মুকুট জিতে নিলেন রিয়াল মাদ্রিদের ফরাসি স্ট্রাইকার। বৃহস্পতিবার রাতে ইস্তাম্বুলে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ ড্র অনুষ্ঠানে বেনজেমার হাতে তুলে দেওয়া হয় শ্রেষ্ঠত্বের স্মারক।

বেনজেমার হাতে উয়েফা বর্ষসেরার পুরস্কার উঠবে খবরটা ছড়িয়ে গেছে আগেই

সেরা হওয়ার দৌড়ে বেনজেমা পেছনে ফেলেছেন তার ক্লাব সতীর্থ থিবাউট কোর্তোয়া ও ম্যানচেস্টার সিটির বেলজিয়ান মিডফিল্ডার কেভিন ডি ব্রুইনেকে। এ ছাড়া আলেক্সিয়া পুতেয়াস বর্ষসেরা নারী খেলোয়াড়, কার্লো আনচেলত্তি বর্ষসেরা পুরুষ কোচ এবং সারিনা ভেইগমান বর্ষসেরা নারী কোচ নির্বাচিত হয়েছেন। আর আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়েছে ইতালির আরিগো সাচ্চিকে।

কয়েক বছর ধরেই প্রায় একাই রিয়াল মাদ্রিদের ঘানি টানছেন বেনজেমা। গত মৌসুমে তো তার দুরন্ত পারফরম্যান্সের সুবাদে রিয়াল জিতেছে ডাবলস। স্প্যানিশ লা লিগার পর উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ১৪তম শিরোপা ঘরে তোলে মাদ্রিদ জায়ান্টরা। তবে বেনজেমার প্রথম হলেও টানা দ্বিতীয়বার মেয়েদের বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার উঠেছে বার্সেলোনার পুতেয়াসের হাতে।

গত বছর উয়েফার বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার পেয়েছিলেন চেলসির ইতালিয়ান মিডফিল্ডার জর্জিনহো। এবার যে নতুন কারোর হাতে রাজদণ্ড উঠছে সেটা অনুমিতই ছিল। সেরার লড়াইয়ে বেনজেমার ধারেকাছেও ছিলেন না কোর্তোয়া ও ডি ব্রুইনে। এ ছাড়া ২০২১-২২ চ্যাম্পিয়নস লিগের মৌসুম সেরা খেলোয়াড়ও হয়েছেন বেনজেমা।

চ্যাম্পিয়নস লিগের গত মৌসুমে সর্বোচ্চ ১৫টি গোল করেছেন বেনজেমা। এর মধ্যে আছে দুটি হ্যাটট্রিক। নকআউট পর্বেই তার গোল ছিল ১০টি। রিয়ালের লা লিগা জয়েও সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন বেনজেমা। ৩৪ বছর বয়সী স্ট্রাইকার লিগে করেন সর্বোচ্চ ২৭ গোল। সব মিলিয়ে গত মৌসুমে ৪৬ ম্যাচে ৪৪ গোল করেছেন বেনজেমা।

ক্লাব ফুটবলের বাইরে জাতীয় দলের হয়েও আলো ছড়িয়েছেন বেনজেমা। তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের সুবাদে গত বছরের অক্টেবারে উয়েফা নেশনস লিগের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ফ্রান্স। টুর্নামেন্টে সেমিফাইনাল ও ফাইনালে গোল করেছিলেন বেনজেমা। এরপর বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে দুই ম্যাচে তিন গোল করেন তিনি।

বেনজেমার রাতে ইতিহাস গড়েছেন পুতেয়াস। প্রথম নারী হিসেবে পরপর দুইবার উয়েফার বর্ষসেরার পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। গত মৌসুমে বার্সাকে তিনটি শিরোপা জিয়েছিলেন পুতেয়াস। তিনি গোল করেন ৩৪টি। মেয়েদের চ্যাম্পিয়নস লিগে সর্বোচ্চ ১১ গোল করেছিলেন এই স্প্যানিয়ার্ড।