আরও ৭৮০টি প্রতিরক্ষা সামগ্রী আমদানি নিষিদ্ধ করল ভারত

প্রতিরক্ষা বিভাগকে শক্তিশালী করতে সমরাস্ত্র আমদানিতে আরেক দফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে ভারত। দেশটির কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং প্রতিরক্ষা খাতে আমদানি কমাতে এবং নিজস্ব উৎপাদন বাড়াতে এ উদ্যোগ নিয়েছেন বলে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। খবর হিন্দুস্তান টাইমস।

প্রতিরক্ষা খাতে আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠতে চায় ভারত

গতকাল রোববার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ৭৮০টি সমরাস্ত্র উপাদান এবং সাব-সিস্টেম ডিসেম্বর ২০২৩ থেকে ডিসেম্বর ২০২৮-এর মধ্যে পর্যায়ক্রমে আমদানি নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসবে। এসব উপাদান যুদ্ধবিমান, প্রশিক্ষণ বিমান, হেলিকপ্টার, সাবমেরিন ও ট্যাংকে ব্যবহৃত হয়।

এর আগে ডিসেম্বর ২০২১ এবং ২০২২ সালে মার্চে ভারত সরকার একই রকম আরও দুটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। আগের তালিকাগুলো থেকে এরইমধ্যে দুই হাজার ৫০০ টি উপাদানের আমদানি নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয়েছে এবং ৪৫৮টি উপাদানের ওপর নিষেধাজ্ঞা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কার্যকর করা হবে। এগুলোর মধ্যে কিছু কিছু পণ্যের এরইমধ্যে দেশে উৎপাদন শুরু হয়েছে।

ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এর ফলে দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী হবে, আমদানি নির্ভরতা কমাবে, দেশীয় প্রতিরক্ষা শিল্পের নকশার ক্ষমতাকে কাজে লাগাতে সাহায্য করবে এবং সমরাস্ত্র প্রযুক্তিতে ভারতকে শীর্ষ পর্যায়ে নিয়ে যাবে।

স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত উপাদান এবং সাব সিস্টেমের মধ্যে রয়েছে সুখোই-৩০ এবং জাগুয়ার ফাইটার, হালকা যুদ্ধ বিমান, ডর্নিয়ার-২২৮ প্লেন, টি-৯০ ও অর্জুন ট্যাংকের বেশকিছু পার্টস এবং সাবমেরিনের একাধিক সাব-সিস্টেম।

ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আমদাানি নিষেধাজ্ঞার সর্বশেষ তালিকাটি এমন সময়ে প্রকাশ করল, যখন ইউক্রেনের সাথে রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে রাশিয়া থেকে কেনা অস্ত্র-শস্ত্রের খুচরা যন্ত্রাংশ সংগ্রহ ও রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। গত মার্চে ভারত এ সংক্রান্ত যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল, তার মধ্যে ছিল রাশিয়া থেকে আমদানি করা টি-৯০ ও টি-৭২ ট্যাংক, পদাতিক যুদ্ধের যান, যুদ্ধজাহাজ, সাবমেরিন ও অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইল ইত্যাদি।

ভারত সরকার সাম্প্রতিক সময়ে প্রতিরক্ষা খাতে স্বনির্ভরতা বাড়াতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) বাড়ানো, স্থানীয়ভাবে তৈরি সামরিক যন্ত্রাংশ কেনার জন্য একটি পৃথক বাজেট তৈরি করা।