হোয়াইট হাউসে আরও বড় ভূমিকায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত সাবিল

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ পদে নিযুক্ত হওয়ার দেড় বছরের মধ্যে বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত কাজী সাবিল রহমান হোয়াইট হাউসে আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছেন। তিনি রেগুলেশন অফিসের রাজনৈতিক প্রধান হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন। এখন থেকে তিনি অফিস অফ ইনফরমেশন অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্সের (ওআইআরএ) সহযোগী প্রশাসক হিসেবে কাজ করবেন। খবর ব্লুমবার্গ।

কাজী সাবিল রহমান

সাবিল বৃহস্পতিবার টুইট করেছেন, সহযোগী প্রশাসক হিসাবে আমার নতুন দায়িত্ব পেয়ে আমি সম্মানিত এবং গর্বিত। বর্তমান প্রশাসনের জটিল সমস্যাগুলো সমাধানে কার্যকর, প্রমাণ-ভিত্তিক, ন্যায়সঙ্গত ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং জরুরি বলে আমি মনে করি।

যদিও মার্কিন প্রশাসনের ওআইআরএ অফিসটি ওয়াশিংটনের বাইরে খুব কম পরিচিত, কিন্তু ফেডারেল এজেন্সিগুলো কীভাবে প্রেসিডেন্টের এজেন্ডা কার্যকর করে, তার ওপর সাবিলের অফিস প্রচণ্ড ক্ষমতা রাখে। বাইডেন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এই অফিসে কোনো স্থায়ী কর্মকর্তা ছিল না। বাইডেন ক্ষমতায় বসার দুই বছর পরে সাবিলকে এই শীর্ষ রাজনৈতিক পদটিতে নিয়োগ দিয়েছেন।

সিনেটের রেকর্ড অনুসারে, ১৯৮০ এর দশকের শেষের দিকে এই পদটি সিনেটে পাস হয়। এরপর থেকে ওআইআরএ চালানোর জন্য কাউকে মনোনীত করতে কোনো প্রেসিডেন্ট এত সময় নেননি। ডেমোক্র্যাটরা কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণ হারালে সাবিলের ভূমিকা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। কারণ তা হলে ক্যাপিটল হিলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছাড়াই বাইডেনকে সবকিছু এগিয়ে নিতে হবে।

কে এই সাবিল

সাবিল গত বছরের জানুয়ারিতে ওআইআরএ-তে সিনিয়র কাউন্সিলর মনোনীত হন। একজন মুসলিম আমেরিকান এবং বাংলাদেশি অভিবাসীদের সন্তান সাবিল নিউইয়র্কে বড় হয়েছেন। তিনি থিংক ট্যাঙ্ক ডেমোসের সাবেক সভাপতি এবং ব্রুকলিন ল স্কুলের আইনের একজন সহযোগী অধ্যাপক।

তিনি আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের পক্ষে ‘সিভিক পাওয়ার’ নামে একটি বই লিখেছেন, যা ২০১৭ সালে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস দ্বারা প্রকাশিত হয়েছিল। বইটি পুরস্কারও জিতেছিল। বইটিতে কীভাবে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতন্ত্র গড়ে তোলা যায়, তা নিয়ে আলোচনা তিনি করেছেন।