গোতাবায়াকে গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জোরদার

শ্রীলঙ্কার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে দেশে ফেরার পর তাকে গ্রেপ্তারের দাবি উঠেছে। বিক্ষোভকারীদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গোতাবায়া ফিরে এসেছে এই কারণে যে, কোনো দেশ তাকে গ্রহণ করতে রাজি নয়। তার আশ্রয় নেওয়ার কোনো জায়গা নেই। তাকে গ্রেপ্তার করা হোক, আমরা তার বিচার চাই। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

গোতাবায়া রাজাপাকসে

চলতি বছরের শুরু থেকেই নজিরবিহীন বিক্ষোভের পর গোতাবায়ার সরকারি বাসভবনে হামলা করেছিল সাধারণ জনতা। এরপর জুলাই মাসে সামরিক সহায়তায় দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন তিনি।

৭৩ বছর বয়সী গোতাবায়া সিঙ্গাপুর থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছিলেন এবং ব্যাংককের একটি হোটেলে কার্যত গৃহবন্দি অবস্থায় কয়েক সপ্তাহ কাটান। পরে তাকে ফিরে আসার অনুমতি দেওয়ার জন্য তার দলের লোকজন প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের কাছে দাবি জানান। এরপর গোতাবায়া গত শুক্রবার দেশে ফিরতে সক্ষম হন।

গোতাবায়া সরকারের বিরুদ্ধে জনসাধারণের বিক্ষোভ

শিক্ষক ট্রেড ইউনিয়নের নেতা জোসেফ স্টালিন এএফপিকে বলেন, শ্রীলঙ্কার ২২ মিলিয়ন মানুষের দুর্দশা সৃষ্টির জন্য গোতাবায়কে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা উচিত। তার অপরাধের বিচার হওয়া উচিত। গোতাবায়া মুক্তভাবে শ্রীলঙ্কায় ঘুরতে পারেন না। এমন হলে মনে হবে দেশে কিছুই ঘটেনি।

অব্যবস্থাপনায় দায়ী ছিলেন গোতাবায়া: গোতাবায়া সরকারকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও অব্যবস্থাপনার জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছিল, কারণ শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি অভূতপূর্ব মন্দার মধ্যে পড়ে। খাদ্যের তীব্র ঘাটতি, দীর্ঘ বিদ্যুৎহীনতা দেখা দিয়েছিল। অত্যাবশ্যক আমদানির জন্য দেশটির বৈদেশিক মুদ্রা ফুরিয়ে যায়। জ্বালানি সংকটে নাকাল হয়ে পড়ে গোটা দেশ।

গোতাবায় কলম্বোর প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করলে মন্ত্রী ও সিনিয়র রাজনীতিবিদদের একটি দল তাকে ফুলের মালা দিয়ে স্বাগত জানান। প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহের সরকার রাজধানীতে তাকে একটি নতুন সরকারি বাসভবন উপহার দিয়েছে।

অধিকার কর্মীরা ২০০৯ সালে বিশিষ্ট সাংবাদিক লাসান্থা বিক্রমাতুঙ্গের হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকাসহ বিভিন্ন অপরাধের জন্য গোতাবায়ার বিচারের দাবি তুলেছে। শ্রীলঙ্কার তরুণ সাংবাদিক সমিতির মুখপাত্র থারিন্দু জয়াবর্ধন বলেন, আমরা তার ফিরে আসার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই, কারণ আমরা তার অপরাধের বিচার দেখতে চাই।