অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের আদলে শেরেবাংলায় উইকেট

এই তো কদিন আগে এক সাক্ষাৎকারে লিটন দাস সরাসরি বলেছেন, মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের উইকেটে ব্যাটিং করে কোনো লাভ হয় না। স্লো-লো বাউন্সের এসব উইকেটেই বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা বছরের বেশিরভাগ সময় অনুশীলন করেন, ম্যাচ খেলেন, বিভিন্ন টুর্নামেন্ট-সিরজের জন্য প্রস্তুতি নেন। পরে দেশের বাইরে গিয়ে পেস, বাউন্সি উইকেটে মানিয়ে নিতে পারেন না।

বিসিবি

মিরপুর স্টেডিয়ামে আটটি উইকেট রয়েছে, সেন্টার উইকেটের পাশে আরও চারটি উইকেট তৈরি করছে বিসিবির গ্রাউন্ডস কমিটি। যার মধ্যে দুটি কংক্রিটের উইকেট রয়েছে, যেখানে পেস, বাউন্স থাকবে। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনের কথা মাথায় রেখে মিরপুরে উইকেট প্রস্তুত করতে চায় বিসিবি। কংক্রিটের পর অ্যাস্ট্রোটার্ফের দুটি উইকেটও বানানো হবে।

বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগের সিনিয়র ম্যানেজার শাহরিয়ার নাফিস মঙ্গলবার সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন, ‘সম্প্রতি বাংলাদেশ দলের ম্যানেজমেন্ট থেকে আমাদের কাছে দুই-তিনটা কংক্রিট উইকেটের প্রস্তাবনা ছিল। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া বা বিভিন্ন দেশে যখন বৃষ্টির মৌসুম থাকে, তখন তারা কংক্রিটের উইকেটে অনুশীলন করে। বেশ কয়েক বছর ধরে আমাদের খেলোয়াড়রা মার্বেল স্লেভের ওপর ব্যাটিং করে। এতে বলের গতি বেশি থাকে এবং ভালো বাউন্সার পাওয়া যায়।’

শাহরিয়ার নাফিস বলেন, পেস, বাউন্স পাওয়ার জন্যই কংক্রিটের উইকেট তৈরি হচ্ছে, ‘আমরা ৫০ শতাংশ ম্যাচ দেশে খেলি, আর ৫০ শতাংশ দেশের বাইরে। সেখানে আমরা দেখি বেশিরভাগ উইকেটে পেস এবং বাউন্স থাকে। পেস বাউন্সটা রেপ্লিকেট করার জন্যই এই কংক্রিট উইকেট তৈরি করা। এখানে বল স্কিড করবে, বাউন্স করবে। আমাদের ব্যাটসম্যানদের যেমন অনুশীলন হবে, তেমনি বোলারদেরও ওই ধরনের উইকেটে অনুশীলনের সুযোগ হবে। গ্রাউন্ডস বিভাগ দুইটা উইকেট বানাচ্ছে।’

বিভিন্ন দেশের কন্ডিশনের ছোঁয়া মিরপুর স্টেডিয়ামে রাখতে চায় বিসিবি। শাহরিয়ার নাফিস বলেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং আরব আমিরাতেও আমরা দেখেছি উইকেট ফ্লাট থাকে। বল সুন্দর ব্যাটে আসে, সুতরাং এটা ওটাকে রেপ্লিকেট করবে। পরবর্তীতে দুটা অ্যাস্ট্রোটার্ফ উইকেট করারও পরিকল্পনা আছে, যেটা ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ের মতো দেশের সঙ্গে মিল থাকবে।’