চাকরি হারিয়ে ভেঙে পড়েছেন টুখেল

অল্প সময়ে চেলসিকে আপন করে নিয়েছিলেন টমাস টুখেল। উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগসহ এনে দিয়েছিলেন একাধিক শিরোপা। এরপরও স্ট্যাম্পফোর্ড ব্রিজে থিতু হতে পারেননি জার্মান এই কোচ। গত ৭ সেপ্টেম্বর তাকে বরখাস্ত করেছে চেলসি কর্তৃপক্ষ। বিষয়টা রীতিমতো হতাশ করেছে টুখেলকে।

চেলসির হট সিটে আর বসা হবে না টুখেলের

প্রিমিয়ার লিগের নতুন মৌসুমের শুরুটা ভালো হয়নি চেলসির। প্রথম ছয় ম্যাচে পেয়েছে মাত্র তিন জয়। ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ছয় নম্বরে অবস্থান করছে নীল জার্সিধারীরা। এই ব্যর্থতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচ। ক্লাব সেরার লড়াইয়ে প্রথম ম্যাচে ৬ সেপ্টেম্বর ডায়নামো জাগরেবের কাছে ১-০ গোলে হেরে যায় চেলসি। এরপরই হেড কোচকে বরখাস্ত করে টড বোহেলির মালিকানাধীন দলটি।

গত বছরের জানুয়ারিতে ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের স্থলাভিষিক্ত হয়ে চেলসিকে চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জেতান টুখেল। এরপর সাবেক প্যারিস সেন্ট জার্মেই, পিএসজি কোচের অধীনে আরও দুটি শিরোপা জেতে পশ্চিম লন্ডনের দলটি। তবে এসব সাফল্য ঢাকা পড়েছে চলমান মৌসুমের ব্যর্থতার কাছে।

ব্লুজদের হেড কোচ হয়েছেন পোটার

এমন ব্যর্থতা থেকে বের হওয়ার জন্য বেশকিছু পরিকল্পনার হাতে নিয়েছিলেন টুখেল। সেগুলো ক্লাব কর্মকর্তাদের অবহিতও করেছিলেন ৪৯ বছর বয়সী কোচ। কিন্তু তাকে কোনো সুযোগ দেননি বোহেলি। এজন্য অনেক সমালোচনা শুনতে হয়েছে মার্কিন ধনকুবেরকে। বিশেষজ্ঞরা বোহেলির এই সিদ্ধান্তকে ‘বড় ভুল’ বলে মনে করছেন। সমর্থকরাও স্ট্যাম্পফোর্ড ব্রিজ থেকে প্রিয় কোচের প্রস্থান মেনে নিতে পারেননি।

টুখেলকে বরখাস্ত করার পর বেশিদিন হেড কোচ ছাড়া থাকতে হয়নি চেলসিকে। গত বৃহস্পতিবার গ্রাহাম পোটারকে নিজেদের হট সিটে বসিয়েছে ম্যান ইন ব্লুজরা। তার আগে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় সারির দল উলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্সের দায়িত্বে ছিলেন ইংল্যান্ডের সাবেক ফুটবলার পোটার।

চাকরি হারানোর পর গত কয়েকদিন মুখ খোলেননি টুখেল। অবশেষে নীরবতা ভেঙে টুইট বার্তায় এই কোচ লিখেছেন, ‘জীবনে এমন কষ্ট খুব কমই পেয়েছি, যখন আমাকে এমন বার্তা লিখতে হচ্ছে। ভাবিনি এই লেখাটা আমাকে এত দ্রুত লিখতে হবে। চেলসিতে আমার সময় এভাবে শেষ হয়ে যাওয়ায় আমি হতাশ।’

চেলসিকে পেশার জায়গা থেকেও আলাদা কিছু মনে করতেন টুখেল। তাই নীল শিবিরের স্মৃতি বুকে লালন করবেন তিনি, ‘ব্যক্তিগতভাবে এবং পেশাগত জায়গা থেকে এটা এমন একটা ক্লাব যেটাকে আমি নিজের ঘর হিসেবে ধরে নিয়েছিলাম। শুরু থেকেই স্টাফ, খেলোয়াড় এবং সমর্থকরা আমাকে আপন করে নিয়েছিলেন। এজন্য তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

‘চেলসিকে চ্যাম্পিয়নস লিগ এবং ক্লাব বিশ্বকাপ জয়ের পথে সাহায্য করতে পারার অনুভূতি আমি কখনোই ভুলতে পারবো না। ঐতিহাসিক এই ক্লাবের ইতিহাস গড়ার অংশ হওয়ায় আমি গর্বিত। গত ১৯ মাসের স্মৃতি আমার হৃদয়ে সারা জীবন দাগ কেটে থাকবে।’ যোগ করেন টুখেল।