নাগালের বাইরে সাবান-শ্যাম্পুসহ টয়লেট্রিজ পণ্যের দাম

দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের দাম যেমন বেড়েছে, সাবান-শ্যাম্পুসহ নানা ধরণের টয়লেট্রিজ পণ্যের দামও বেড়েছে হুহু করে। খুচরা ব্যবসায়ী-দোকানি ও ভোক্তারা বলছেন, গত দুই মাসে সাবান, শ্যাম্পু, টিস্যু, হ্যান্ডওয়াশ, ডিটারজেন্টের মতো টয়লেট্রিজ সামগ্রীর দাম বেড়েছে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত। এমন অবস্থায় সব দিকে বাড়তি খরচ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

নাগালের বাইরে সাবান-শ্যাম্পুসহ টয়লেট্রিজ পণ্যের দাম

দাম বাড়ার পেছনে কাঁচামালের মূল্য ও আমদানি খরচ বৃদ্ধি এবং বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতির দোহাই দিচ্ছেন টয়লেট্রিজ পণ্য উৎপাদনকারীরা। তবে ভোক্তা অধিকার সংশ্লিষ্টদের দাবি, এতো পরিমাণ দাম বাড়ার নেপথ্যে রয়েছে ব্যবসায়ীদের অতি মুনাফা লাভের প্রবণতা।

রাজধানীর রামপুরা বনশ্রী এলাকার বাসিন্দা তানজিলা হোসেন বলেন, সব ধরনের সাবান, শ্যাম্পু, গুড়ো সাবান, টুথপেস্ট, চুলে দেওয়ার তেল, হ্যান্ডওয়াশসহ সব পণ্যই এখন কিনতে হচ্ছে অনেক বাড়তি দামে। প্রত্যেকটা জিনিসেরই দাম ২০-৩০ টাকা বেড়ে গেছে। এতে সংসার খরচ আগের চেয়ে দুই হাজার টাকা বেড়ে গেছে।

ওয়ারির বাসিন্দা তানজিয়া আক্তার বলেন, নিত্যপণ্যের দাম এতোটা বেড়েছে, যে এটা একটা আতঙ্কের মতোই মনে হচ্ছে। তিনি বলেন, সাবানের দাম বেড়েছে, টিস্যুর দাম বেড়েছে। আগে যেখানে বিদেশি সাবান কিনতাম, এখন দেশি সাবান কিনি। আগে বড় সাইজের সাবান কিনতাম, এখন ছোট সাইজেরটা খুঁজি।

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, গত দুই মাসে সাবান ও গুড়ো সাবানের দাম বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। এসব পণ্যে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্য বেড়েছে।

রামপুরা মহানগরের মিনি সুপারশপের দোকানি আনোয়ার হোসেন বলেন, গুড়ো সাবানের প্রতিটি ব্র্যান্ডই দাম বাড়িয়েছে। এক কেজি ওজনের গুড়ো সাবানের প্যাকেটে বেড়েছে ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকা। তিনি বলেন, যেই সাবান ৩৫ টাকা ছিল, সেটা বেড়ে এখন ৫৫ টাকা হয়েছে। যেটা আগে ৫৫ টাকায় বিক্রি হতো, সেটি এখন বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকায়।

দাম বাড়ার কারণ হিসেবে ইউনিলিভার বাংলাদেশের হেড অব করপোরেট শামীমা আক্তার বলেন, দাম বেড়ে গেছে কাঁচামালের দাম ও আমদানি খরচ বেড়ে যাওয়ার কারণে। এছাড়া বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতিরও একটা ভূমিকা রয়েছে সব পণ্যের দাম বৃদ্ধির নেপথ্যে।

তবে কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ- ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, ডলারের মূল্য বৃদ্ধিসহ বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতির প্রভাব দেশের বাজারে কিছুটা পড়েছে। তবে দেশে যে পরিমাণে দাম বেড়েছে, তার জন্য ব্যবসায়ীদের অতি মুনাফার প্রবণতাই বেশি দায়ী।