ট্রেনে কাটা পড়ে চোখের সামনে ছেলের মৃত্যু, নির্বাক বাবা-মা

বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ষষ্ঠ সেমিস্টারের ছাত্র ঈশ্বরদীর হাসানুজ্জামান ইমতিয়াজকে সাথে করে বিশ্ববিদ্যালয়ে দিয়ে আসতে যাচ্ছিলেন তার বাবা পাবনা জজ কোর্টের আইনজীবী ইসহাক আলী ও তার স্ত্রী। কিন্তু শেষপর্যন্ত তাকে আর বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে হয়নি। আর কোনোদিন যাওয়ারও প্রয়োজন পড়বে না। কারণ ট্রেনের নিচে পড়ে ২২ বছরের তরুণ হাসানুজ্জামান ইমতিয়াজ অন্য জগতের বাসিন্দা হয়ে গেছেন!

হাসানুজ্জামান ইমতিয়াজ

ইমতিয়াজের বন্ধু প্রত্যক্ষদর্শী আরিফুল ইসলাম বলেন, তারা ঈশ্বরদী কমিউটার ট্রেনে একসঙ্গে ঈশ্বরদী থেকে রাজশাহী যাচ্ছিলেন। ট্রেনটি নাটোরের আবদুলপুর রেলজংশনের প্ল্যাটফর্মে দাঁড়ালে ইমতিয়াজ পুরি খেতে ট্রেন থেকে নামেন। সে প্লাটফর্মে থাকাবস্থায় ট্রেনটি ছেড়ে দেয়।

ইমতিয়াজ দৌড়ে ট্রেনের হাতল ধরে ওঠার চেষ্টা করেন। কিন্তু হাত পিছলে যাওয়ায় ইমতিয়াজ ট্রেনের নিচে পড়ে যান। ট্রেনটি প্লাটফর্ম ছেড়ে যাওয়ার পর লোকজন তার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করে। ঘটনাটি ঘটে শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল পৌনে আটটার দিকে।

ছেলের মরদেহ দেখে নির্বাক ইমতিয়াজের বাবা

দুর্ঘটনার সময় ইমতিয়াজের মা-বাবা ট্রেনে ছিলেন। ঘটনার পর ছেলের মৃতদেহ দেখে তারা কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেন। কারও সাথে কোনো কথা বলছেন না।

এদিকে এ ঘটনা জানাজানি হলে ইমতিয়াজের বাড়ি ঈশ্বরদীর গোপালপুর নিজ গ্রামে ও তার শিক্ষাঙ্গন বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে শোকের ছায়া নেমে আসে।

আব্দুলপুর রেলওয়ে জংশন স্টেশনের মাস্টার জিয়াউদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে এই ঘটনা ঘটেছে। রেলওয়ে থানাকে সাথে সাথেই দুর্ঘটনার খবর জানানো হয়।