৮ মাস পর চালু চীন-আফগানিস্তান এয়ার করিডর

আফগানিস্তান-চীন এয়ার করিডর ৮ মাস পর আবারও চালু হয়েছে। চলতি সপ্তাহ থেকে ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে আমদানি-রপ্তানি। তালেবান ক্ষমতা দখলের পর এয়ার করিডর দিয়ে প্রথমবারের মতো গত সোমবার চীনে পাইন বাদাম রপ্তানি করেছে আফগানিস্তান। খবর টোলো নিউজের।

৮ মাস পর চালু চীন-আফগানিস্তান এয়ার করিডর

চীনে পাইন বাদাম রপ্তানি উপলক্ষ্যে এয়ার করিডর চালু সংক্রান্ত অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন উপ-প্রধানমন্ত্রী মোল্লা আবদুল গনি বারাদার। তিনি বলেন, স্থলবেষ্টিত আফগানিস্তানের জন্য বিমান করিডর খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ রপ্তানিকারকরা প্রতিবেশী দেশের কাছে শুল্ক সংক্রান্ত আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হয়।

বারাদার বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও চীনের সাথে আফগানিস্তানের বাণিজ্য জোরদার হচ্ছে। পাইন বাদাম ও বাদামজাত পণ্যের রপ্তানি বাড়ছে। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বাণিজ্য ও শিল্প উপমন্ত্রী কুররাতুল্লাহ জামাল। তিনি বলেন, আমরা এয়ার করিডর দিয়ে তাজা ফল রপ্তানি পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি।

কুররাতুল্লাহ বলেন, চীনের পাশাপাশি পাইন বাদাম যাবে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আরব আমিরাত এবং পাকিস্তানে। আমরা এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি। তিনি সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে আমদানি-রপ্তানিতে আফগানিস্তানকে সার্বিক সহায়তার আহ্বান জানান।

এদিকে আফগানিস্তান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এসিসিআই) ডেপুটি হেড মোহাম্মদ ইউনুস মোমান্দ বলেছেন, আফগানিস্তানের রপ্তানি আয় আগের বছরের তুলনায় এ বছর ৭০ শতাংশ বেড়েছে। আমরা শুধু স্থলপথে নয়, বিমান করিডরের মাধ্যমেও পণ্য রপ্তানির সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করছি।

মোহাম্মদ ইউনুস মোমান্দ মনে করেন, পাইন বাদামের চোরাচালান প্রতিরোধ করা জরুরি। এসিসিআইয়ের এক পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, গত বছর ৫ লাখ ৫০ হাজার পাইন বাদাম রপ্তানি করেছে আফগানিস্তান।

২০২১ সালের আগস্টে কাবুল দখলের পর জরাজীর্ণ আফগানিস্তানের দায়িত্ব গ্রহণ করে তালেবান সরকার। দেশটির অবস্থা খুবই নাজুক। এখনও অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত দেশটির বাসিন্দারা। জ্বালানি, বিদ্যুৎ, অর্থ সংকট দেশটিকে খাদের কিনারে নিয়ে গেছে। তালেবার সরকার সেই অবস্থা থেকে দেশটিকে আস্তে আস্তে উদ্ধারের চেষ্টা করছেন।