চ্যাম্পিয়ন তকমা নিয়ে বিশ্বকাপে যাচ্ছে পাকিস্তান

হায়দার আলী ও মোহাম্মদ নওয়াজের সাহসী ও আক্রমণাত্বক ব্যাটিং পাকিস্তানকে ত্রিদেশীয় সিরিজের শিরোপা এনে দিয়েছে। এই শিরোপা জয়ের মাধ্যমে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ভালোভাবেই শেষ করল পাকিস্তান।

শিরোপা জিতেই বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শেষ করল পাকিস্তান

পাকিস্তানের টপ অর্ডার থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেনি। তবে মিডল অর্ডার দৃঢ়তা দেখিয়েছে। ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ১৬৮ রান তাড়া করতে নেমে পাকিস্তানের ছয় ব্যাটার অবদান রেখেছেন। তাদের ব্যাটেই ৫ উইকেটে জিতে চ্যাম্পিয়ন তকমা নিয়ে বিশ্বকাপে যাচ্ছে পাকিস্তান।

ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে টস জিতে ফিল্ডিং করতে নামে পাকিস্তান। উইকেটের সুবিধা নিয়ে নাসিম শাহ ও হ্যারিস রউফ শুরুতে ওপেনার ফিন অ্যালেন (১২) ও ডেভন কনওয়েকে (১৪) তুলে নেন। তবে তিন, চার ও পাঁচে নামা কিউই ব্যাটাররা রান পেয়েছেন।

অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকে পুরোনো রূপে দেখা গেল। পঞ্চাশ ওভারের বিশ্বকাপ, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মতো ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালেও রান পেয়েছেন তিনি। তার ব্যাট থেকে আসে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৯ রানের ইনিংস। ৩৮ বলে চারটি চার ও দুটি ছক্কায় ওই ইনিংস সাজান তিনি।

চারে নামা গ্লেন ফিলিপস প্রত্যাশিত ঝড় তুলতে পারেননি। তিনি ২২ বলে ২৫ রান করে ফিরে যান। পাঁচে নেমে চ্যাপম্যান খেলেন ১৯ বলে ২৫ রানের ইনিংস। এছাড়া জেমি নিশাম ১০ বলে ১৭ রান করেন। প্রথম ১০ ওভারে কিউইরা ৮৩ রান তুললেও স্লগে রান এগিয়ে নিতে পারেনি ব্ল্যাক ক্যাপসরা।

জবাব দিতে নেমে ভালো শুরু পায় পাকিস্তান। তবে সেট হয়ে ১৪ বলে ১৫ রান করে ফিরে যান অধিনায়ক বাবর আজম। দলের রান তখন ২৯। এরপর তিনে নামা শান মাসুদও সেট হয়ে সাজঘরে ফেরেন। তিনি ২১ বলে ১৯ রান করেন। দলকে ভরসা দেওয়া ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান ২৯ বলে চারটি চারে ৩৪ রান করে ফিরলে চিন্তা বাড়ে পাকিস্তান দলে।

চারে নামা মোহাম্মদ নওয়াজ ও পাঁচে নামা হায়দার আলি দুর্দান্ত ব্যাটিং করে শঙ্কা উড়িয়ে দেন। হায়দার ১৫ বলে তিন চার ও দুই ছক্কায় ৩১ রান করেন। এভাবেই বুঝিয়ে দেন যতটা খারাপ বলা হয় অতোটা খারাপ না পাকিস্তানের মিডল অর্ডার। তিনি আউট হওয়ার পরেই আসিফ আলি (১) সাজঘরে ফেরেন।

একটু চাপে পড়ে পাকিস্তান। তবে নওয়াজ ও ইফতিখার আহমেদ দারুণ ব্যাটিং করে তিন বল হাতে থাকতেই দলের জয় নিশ্চিত করেন। নওয়াজ ২২ বলে তিন ছক্কা ও দুটি চার মারেন; অপরাজিত ইনিংস খেলে আস্থাশীল অলরাউন্ডারের ভূমিকা পালন করেন। ইফতিখার ১৪ বলে একটি করে চার ও ছয়ে ২৫ রান করে দলের জয়ে বড় ভুমিকা রাখেন।