ইমপ্যাক্ট-ইনটেন্ট নিয়ে বিশ্বকাপ মিশনে বাংলাদেশ

টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট শ্রীধরন শ্রীরাম সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, পারফরমার নয় আমার প্রয়োজন ইমপ্যাক্ট ক্রিকেটার। টি-টোয়েন্টিতে প্রভাব ফেলতে পারবেন এমন ক্রিকেটারই তার চাই। গত আগস্টে নিয়োগ পাওয়া শ্রীরাম এখন বাংলাদেশ দলের হেড মাস্টার।

ক্রিকেটারদের মাঝে থাকতে হবে ইটেন্ট। পরিস্থিতি যেমনই হোক প্রতিপক্ষকে আক্রমণের চেষ্টা সবার মাঝে দেখতে চান শ্রীরাম। ভারতীয় এই কোচের থিউরি নিয়েই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অষ্টম আসরে পা রেখেছে বাংলাদেশ দল। অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্বকাপে বাংলাদেশের আবহ সংগীত হয়ে গেছে ইমপ্যাক্ট-ইটেন্ট।

টানা হারের ধকল সয়ে বিশ্বকাপ মিশনে নামবে বাংলাদেশ দল। মূল পর্বের আগে আগামী ১৭ ও ১৯ অক্টোবর যথাক্রমে আফগানিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে টাইগাররা। দুটি ম্যাচই হবে অ্যালান বোর্ডার ফিল্ডে। এরপর ২৪ অক্টোবর বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ দল।

সাম্প্রতিক সময়ে টি-টোয়েন্টিতে দলটার টানা হারেও বিচলিত নন শ্রীরাম, অধিনায়ক সাকিব। তাদের মতে, এসব ম্যাচে দেখা হয়েছে সম্ভাব্য কম্বিনেশন, সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এখন মাঠে প্রমাণের পালা।

শেষ মুহূর্তে বিশ্বকাপ দলে দুটি পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। পড়তি ফর্মের কারণে সাব্বির রহমান ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন বাদ পড়েছেন। স্ট্যান্ড বাই তালিকা থেকে সৌম্য সরকার ও শরীফুল ইসলাম মূল দলে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।

এই পরিবর্তনকে ইতিবাচকভাবেই দেখছেন শ্রীরাম। ভারতীয় এই কোচ ব্রিসবেনে পৌঁছে বাংলাদেশের সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘অনেক কিছু শিখেছি, নিজেদের খেলোয়াড়দের ব্যাপারে জেনেছি, কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছি। অনেক কিছু শিখেছি। আমরা এই ব্যাপারে পরিষ্কার, জানি কোন দলটা সেরা। সেরা দল একটা না, এটা বদলায়। সঠিক দলের বিপক্ষে ঠিক ম্যাচ-আপটা দরকার। কিন্তু আমাদের মাথায় সেরা কম্বিনেশনের ব্যাপারটা পরিষ্কার।’

বিশ্বকাপের সব দলই জানে তাদের ওপেনার কারা। কিন্তু শুধু বাংলাদেশ দলটার ওপেনিং পজিশন এখনো চূড়ান্ত নয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষায় অনেকে সুযোগ পেয়েছেন। নিশ্চিতভাবেই ওপেনিং এখন বড় চিন্তার কারণ। লিটন দাসকে ওপেনিংয়ে পাঠানো হবে, নাকি মিরাজ- সৌম্য বা শান্ত-মিরাজ বা শান্ত-সৌম্য জুটিকে খেলানো হবে, সেটি এখনও রহস্য হয়েই আছে।

মিডল অর্ডারে সাকিব, আফিফ, ইয়াসির, মোসাদ্দেকদের বড় দায়িত্ব নিতে হবে। পাওয়ার হিটারের দায়িত্ব সামাল দিতে হবে সোহানকে।

টপ অর্ডারের মতো পেস আক্রমণেও রয়েছে চিন্তার খোরাক। কারণ এ ফরম্যাটে দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের বোলিংয়ের অবস্থা খুবই নাজুক। তার ছন্দে ফেরা খুবই প্রয়োজন বাংলাদেশের জন্য। তার বাইরে তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, শরীফুল ইসলামের বোলিং বেশ আশা জাগানিয়া।

তবে বাংলাদেশ দলের জন্য ধ্রুবসত্য হলো সম্মিলিত পারফরম্যান্স। একা ম্যাচ জেতানোর ক্রিকেটার নেই দলে। তাই জয়ের খাতা খুলতে হলে প্রয়োজন দলীয় প্রচেষ্টা।

তা না হলে, শ্রীরামের ইমপ্যাক্ট-ইটেন্ট তত্ত্বও ব্যর্থতার ভারে ডুবে যাবে তাসমান সাগরে।