আপনি পড়ছেন

একজন বাস্তববাদী রাজনীতিবিদ শি জিনপিং। জটিল ব্যক্তিত্বের অধিকারী। মধ্যপন্থী রাজনীতিবিদ হিসেবে তিনি একইসাথে চীনা জাতীয়তাবাদ ও সমাজতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি লালন করেন। টিআরটি ওয়ার্ল্ডের বিশ্লেষণে শি-র সংগ্রামী জীবন ফুটে উঠেছে।

xi jinping 3শি জিনপিংয়ের বিস্ময়কর উত্থান

২০তম জাতীয় কংগ্রেস পরিচালনা করছে চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি (সিসিপি)। দলটির অবিসংবাদিত নেতা শি জিনপিং। ১৯৬০ এর দশকে তিনি গুহায় থাকতেন, যখন তার বাবা ঝি ঝংক্সুনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। শাস্তি হিসেবে তার পরিবারকে গ্রামীণ এলাকায় নির্বাসন দেওয়া হয়।

তৃতীয় মেয়াদে সেই শি সিসিপির প্রধান নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। অথচ তার বাবাকে এই দলটির প্রতি আনুগত্যহীনতার শাস্তি দেওয়া হয়েছিল। শির বাবাকে নির্বাসনে দেওয়ার আগে মাওবাদীরা তাদের বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছিল। আত্মহত্যা করেছিল তার এক বোন।

এই কঠিন পরিস্থিতিতে শি-কে সিসিপির প্রতি অনুগত থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন এক উপ-প্রধানমন্ত্রী। কঠিন পথ চলতে চলতে অবশেষে ২০১২ সালে শি জিনপিং দেশের সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হন। তিনি শুধু দল কিংবা দেশ নয়, সেনাবাহিনীর নেতৃত্বও তার হাতে।

শি মধ্য চীনের লিয়াং জিয়াহে গ্রামের একটি গুহায় থাকতেন। এই স্থানটি এখ পর্যটকদের একটি আকর্ষণীয় স্থান। সাত বছরের ওই গ্রামীণ জীবন থেকে জীবনের কঠিন সত্য উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন শি। দূর থেকে অন্য কিছু মনে হলেও শির জীবন কঠিন বাস্তবতায় মোড়া।

২০০০ সালে এক বক্তৃতায় শি বলেছিলেন, পুরোনো দিনের কথা মনে পড়ে। মাওবাদী রেড গার্ডদের আটক কেন্দ্রের কথা তিনি স্মরণ করে বলেন, আমার বাবাও এক সময় মৃত্যু‌দণ্ডের রায় নিয়ে সেখানে ছিলেন। রাজনৈতিক জীবনের সেই কঠিন উপলব্ধি তার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। তার উত্থানের পথ প্রশস্ত করেছে।

সাতবার প্রত্যাখ্যানের পর ১৯৭০ সালে তিনি চীনা কমিউনিস্ট ইয়ুথ লীগের সদস্য হওয়ার আবেদন করেছিলেন। অবশেষ সফল হন। সিসিপিতেও তাকে আটকানোর চেষ্টা হয়েছে নয় বার। শেষপর্যন্ত দশমবারের চেষ্টায় তিনি ১৯৭৪ সালে সিসিপিতে যোগ দিতে সক্ষম হন।

১৯৭৯ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত শি জিনপিং গেং বিয়াওয়ের সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ সময় তিনি ছিলেন সিসিপির অন্যতম শক্তিশালী নেতা। গেং এর শীর্ষ সামরিক কাঠামো সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের ভাইস প্রিমিয়ার ও সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

২০০২ সালে তিনি সিসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির পূর্ণ সদস্য হতে সক্ষম হন। এখান থেকেই তার জাতীয় মর্যাদায় উত্থানের শুরু। ২০০৭ সালে দেশের শীর্ষ পদের জন্য সবচেয়ে শক্তিশালী প্রার্থী ছিলেন তিনি। পাঁচ বছর পর তিনি সিসিপির প্রধান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন।

Get the latest world news from our trusted sources. Our coverage spans across continents and covers politics, business, science, technology, health, and entertainment. Stay informed with breaking news, insightful analysis, and in-depth reporting on the issues that shape our world.

360-degree view of the world's latest news with our comprehensive coverage. From local stories to global events, we bring you the news you need to stay informed and engaged in today's fast-paced world.

Never miss a beat with our up-to-the-minute coverage of the world's latest news. Our team of expert journalists and analysts provides in-depth reporting and insightful commentary on the issues that matter most.