জাতিসংঘকে কাতার: ফিলিস্তিনিদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদকে কাতার বলেছে, ফিলিস্তিনিদের অবশ্যই তাদের দখলকৃত ভূখণ্ডে সার্বভৌমত্ব প্রয়োগের পূর্ণ অধিকার থাকতে হবে। অর্থনৈতিক ও আর্থিক কমিটির (দ্বিতীয়) বৈঠকে জাতিসংঘে কাতারের স্থায়ী মিশনের তৃতীয় সচিব শেখ আবদুর রহমান বিন আবদুল আজিজ আল-থানি এই বিবৃতি দেন। খবর কাতার নিউজ এজেন্সি।

শেখ আবদুর রহমান বিন আবদুল আজিজ আল-থানি

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ইসরায়েল পূর্ব জেরুজালেমসহ অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের পাশাপাশি অন্যান্য অধিকৃত আরব ভূখণ্ডে প্রাকৃতিক সম্পদের শোষণ অব্যাহত রেখেছে এবং ফিলিস্তিনিদের তাদের সম্পদ ও সম্পত্তিতে প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করেছে। তারা ফিলিস্তিনের জমিগুলোকে নিজেদের সাথে সংযুক্ত করে নিয়েছে, বাড়িঘর ভেঙে দিয়েছে এবং সেখানকার লোকজনকে বাস্তুচ্যুত করেছে, যা ওই এলাকার সার্বিক পরিস্থিতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

শেখ আবদুর রহমান পশ্চিম এশিয়ার জন্য জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের একটি প্রতিবেদনের উল্লেখ করেন, যাতে গোলান মালভূমিতে ফিলিস্তিনি ও সিরিয়ানদের দুর্দশার বিস্তারিত বর্ণিত হয়েছে। প্রতিবেদনে ফিলিস্তিনি ও সিরিয়ানদের জীবনযাত্রার উপর ইসরায়েলের এসব অবৈধ কর্মকাণ্ডের প্রভাব তুলে ধরা হয়েছে। তিনি বলেন, মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্র এবং আন্তর্জাতিক আইন উভয়ই এই নীতিকে স্বীকৃতি দিয়েছে যে, কাউকে তাদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করা উচিত নয়।

এক ফিলিস্তিনি নাগরিককে ধরে নিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা

শেখ আবদুর রহমান যোগ করেছেন, সাধারণ পরিষদ তার রেজুলেশন ৭৬/২২৫-এ বিদেশি দখলদারিত্বের অধীনে প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর স্থায়ী সার্বভৌমত্বের নীতিকে পুনঃনিশ্চিত করেছে এবং পূর্ব জেরুজালেম ও গোলান হাইটসসহ অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলগুলোতে এ নীতিকে অবশ্যই সম্মান করা উচিত।

তিনি গাজা উপত্যকায় শিক্ষা ক্ষেত্রে সৃষ্ট ক্ষতির বিষয়টি প্রতিবেদনে উল্লেখ করে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি জানান, কাতার ফিলিস্তিনিদের শিক্ষা ব্যবস্থায় তহবিলে সহায়তার পাশাপাশি ফিলিস্তিন শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ ও ওয়ার্কস এজেন্সির জন্য সমর্থন বাড়িয়েছে। এছাড়া কাতার ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট সংস্থাকে সহায়তা প্রদান অব্যাহত রেখেছে, যা ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জীবন রক্ষাকারী স্বাস্থ্য ও শিক্ষা পরিষেবা প্রদান করে।

আবদুর রহমান জানান, ইসরায়েলি সামরিক অভিযানে ধ্বংস হওয়া অবকাঠামো পুনর্গঠনের জন্য অর্থ প্রদানসহ গত এক দশকে গাজাকে কাতার মোট ১৫০ কোটি ডলারের বেশি আর্থিক সহায়তা করেছে। বিবৃতির শেষাংশে তিনি বলেন, কাতার এই অঞ্চলে নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও শান্তি অর্জনের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টাকে সমর্থন অব্যাহত রাখবে।