ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পদে এগিয়ে জনসন-সুনাক

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং তার অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক পরবর্তী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে এগিয়ে আছেন। শুক্রবার, ২১ অক্টোবর প্রার্থীরা কনজারভেটিভ পার্টির নেতা হওয়ার প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নিজেদের পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছেন।

ঋষি সুনাক ও বরিস জনসন

মাত্র ৬ সপ্তাহ ক্ষমতায় থাকার পর বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর পদত্যাগ করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস। তবে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্বে থাকবেন বলে জানিয়েছেন।

কনজারভেটিভ পার্টির যেসব প্রার্থী ট্রাসের স্থলাভিষিক্ত হতে চান তাদের সোমবার, ২৪ অক্টোবর এর মধ্যে দলটির আইন প্রণেতাদের কাছ থেকে ১০০ ভোট নিশ্চিত করতে হবে।

এদিকে জনমত জরিপে দেখা গেছে, এখন জাতীয় নির্বাচন হলে কনজারভেটিভ পার্টির ব্যাপক বিপর্যয়ে পড়ার আশংকা রয়েছে। ফলে সেপথে না গিয়ে দলীয়ভাবে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করা হচ্ছে। এবারের বিজয়ী প্রার্থী হবেন ৬ বছরের মধ্যে ৫ম ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।

আগামী ২৪ অক্টোবর অথবা ২৮ অক্টোবর বিজয়ী প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হবে।

বরিস জনসন যদি পুনরায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন তাহলে তা অসাধারন একটি প্রত্যাবর্তন হিসেবেই বিবেচিত হবে। এছাড়া দলের সদস্যদের মধ্যেও তার জনপ্রিয়তা এখনো অটুট আছে। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে ঋষি সুনাকেরও নাম শোনা যাচ্ছে। তিনি জনসন প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। সেসময় তিনি এবং সাজিদ জাভেদ মন্ত্রীপদ থেকে ইস্তফা দেয়ার কারণেই পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন জনসন।

জনসন, সুনাকের পর প্রধানমন্ত্রী প্রার্থিতার দৌড়ে ৩ নম্বরে রয়েছেন পেনি মর্ডান্ট। সাবেক এই প্রতিরক্ষামন্ত্রী পার্টির সদস্যদের কাছে বেশ জনপ্রিয়।

অবশ্য এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কেউই তাদের প্রার্থিতা ঘোষণা করেননি।

সূত্র: রয়টার্স