অর্থনৈতিক সংকট, জনবিক্ষোভে বিধ্বস্ত তিউনিসিয়া

তিউনিসিয়া বর্তমানে কঠিন অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট কাইস সাঈদ অর্থনৈতিক সংকট কাটাতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) দিকে ঝুঁকছেন। ইতোমধ্যে তিউনিসিয়ার প্রতিনিধি দল ও আইএমএফের মধ্যে ১.৯ বিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি সই হয়েছে। ডয়েচে ভেলের খবর।

জনবিক্ষোভে বিধ্বস্ত তিউনিসিয়া

তবে চুক্তি হলেও ঋণটি আইএমএফের নির্বাহী বোর্ডের অনুমোদন পেতে হবে। আগামী ডিসেম্বরে এই বিষয়ে সংস্থাটির সাথে আলোচনায় বসবে দেশটি। তবে আইএমএফের সাথে এই ঋণচুক্তি দেশটির জনবিক্ষোভ কমাতে পারবে কিনা তা স্পষ্ট নয়।

গত সপ্তাহে তিউনিসের রাস্তায় হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেন। তারা প্রেসিডেন্ট সাঈদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে নানা স্লোগান দেন। গণমাধ্যমের খবর অনুসারে, তারা স্লোগান দিচ্ছিলেন, ‘সাঈদ চলে যাও, বের হও’।

বামপন্থী রাজনৈতিক কর্মী ও ভিন্নমতালম্বী সেলিম বুখধির ডিডব্লিউকে বলেন, ‘যা ঘটছে তা স্বাভাবিক ঘটনা। প্রেসিডেন্ট সাঈদ যা করেছেন, তারই ফল এটা।’
তিনি বলেন, এটা স্পষ্ট যে, প্রেসিডেন্ট দেশের বাস্তব সংকট থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। জনতাকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হিসেবে ধরে নিয়েছেন। তার নীতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে তিউনিসিয়াকে বিচ্ছিন্ন করেছে।

শুধু বুখধীর এরকম মত পোষণ করেন না। আরও সাধারণ মানুষ একই মতামত দিয়েছেন। প্রতিবাদকারীদের চোখে প্রেসিডেন্ট কাইস দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির অবনতির জন্য দায়ী বলে মনে করেন তারা।

খবরে বলা হচ্ছে, তিউনিসিয়ার সাধারণ মানুষ এখন নানামুখী সংকটে ভুগছে। জ্বালানি ও গমের উচ্চমূল্য সাধারণ মানুষের জীবনকে কঠিন করে তুলেছে। আইএমএফের ঋণ পরিস্থিতি আরও খারাপ করে তুলতে পারে। কারণ আইএমএফ আরও রাজস্ব বাড়ানো যুক্তি দিলে এবং তা বাস্তবায়ন করতে গেলে জনবিক্ষোভ আরও বেড়ে যেতে পারে। বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগই জনগণকে রাস্তায় নামাতে বাধ্য করছে।

তিউনিসিয়ান ফোরাম ফর ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল রাইটস-এর প্রেসিডেন্ট আবদেল রহমান হাদিলি বলেন, আগামী ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে বিক্ষোভ সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে। তবে কনরাড অ্যাডেনাউয়ার ফাউন্ডেশন তিউনিসিয়ার প্রধান মাইতে গায়ের বলেন, বিক্ষোভগুলো দীর্ঘমেয়াদে জনগণকে একত্র করতে পারবে- তা নিশ্চিত নয়। তবে ন্যাশনাল সালভেশন ফ্রন্ট একটি বড় শক্তি, যাতে এন্নাহদার মতো জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল রয়েছে।