মিয়ানমারে কনসার্টে জান্তার বিমান হামলায় নিহত ৬০

মিয়ানমারের কাচিন রাজ্যে জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠী আয়োজিত একটি কনসার্টে বিমান থেকে বোমা হামলা চালিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। জান্তার এই বোমা হামলায় অন্তত ৬০ জন নিহত এবং শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। নিহতের মধ্যে কাচিন সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী কেআইএর সদস্য ছাড়াও স্থানীয় গ্রামবাসী রয়েছেন। খবর বিবিসি ও আল জাজিরা।

বিমান থেকে বোমা হামলায় ধূলিস্মাৎ কাচিনের কনসার্টস্থল

মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় কাচিন রাজ্যে সশস্ত্র লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে কাচিন ইনডিপেন্ডেন্স আর্মি (কেআইএ)। রোববার (২৪ অক্টোবর) ছিল ওই বিদ্রোহী গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে কাচিন বিদ্রোহীদের সশস্ত্র সংগ্রাম শুরুর ৬২তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে কানসি গ্রামে কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছিল।

মিয়ানমারে ক্ষমতাসীন সামরিক জান্তা বাহিনী রোববার সন্ধ্যায় ওই কনসার্টে বিমান হামলা চালায়। বিমান থেকে তিন দফায় বোমা নিক্ষেপ করে মিয়ানমার সেনারা।

কেআইএ-র মুখপাত্র কর্নেল নাউ বু বলেন, কানসি গ্রামে কেআইএ আয়োজিত কনসার্টে তিনটি বোমা ফেলেছে সেনা বিমান। রবিবার স্থানীয় সময় রাত ৮টা ৩০ মিনিটে তিনটি বড় ধরনের বোমা নিক্ষেপ করা হয়। বিস্ফোরণের প্রচণ্ডতায় কয়েকটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হতাহতের শিকার হন কনসার্টে আসা দর্শকরা।

তিনি বলেন, ঘটনাস্থলেই অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে কেআইএ সদস্য ছাড়াও গ্রামবাসী রয়েছেন।

পরে কেআইএর এক মুখপাত্র জানান, বিমান হামলার ঘটনায় নিহত বেড়ে ৬০ জন হয়েছে। আরও ১০০ জনের বেশি আহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে কয়েকজন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী রয়েছেন।

গ্রামবাসী কয়েকজন জানিয়েছেন, অভিযান শুরুর আগে কোনও সতর্ক সংকেত দেয়নি সেনারা। এছাড়া  আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য শহরে নিয়ে যেতে সেনাবাহিনী বাধা দিয়েছে।

গত বছর অং সান সুচির নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে সেনাবাহিনী ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর সশস্ত্র বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে হামলা জোরদার করেছে মিয়ানমার সামরিক বাহিনী।