সন্ত্রাসী গোষ্ঠী গঠনে দোষী সাব্যস্ত জার্মান দুই সেনা

ইয়েমেনে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী গঠনে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন সাবেক দুই জার্মান সেনা। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ইয়েমেনের যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করার জন্য তারা একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী গঠনের চেষ্টা করেছিলেন। তবে সৈন্যদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

ছবি - সংগৃহীত

স্টুটগার্ট রাজ্য আদালত সোমবার জানিয়েছে, ৬১ এবং ৫৩ বছর বয়সী দুই সেনাকে যথাক্রমে ১৮ মাস ও ১৪ মাস মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে। আদালত তদন্তে জানতে পেরেছেন, ওই দুই সেনা ২০২১ সালের এপ্রিলে ১০০ থেকে ১৫০ জনের একটি আধাসামরিক ইউনিট গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ইউনিটটি ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের দখলীয় এলাকা পুনরুদ্ধার করতে গঠন করা হয়েছিল। ইউনিটটির সদস্য করা হয় সাবেক ও বর্তমান জার্মান সেনাদের।

খবরে বলা হয়, ওই দুই সেনার লক্ষ্য ছিল- তারা হুথিদের দখলকৃত এলাকা নিজেদের দখলে নিয়ে নেবে এবং ইয়েমেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারকে শান্তি আলোচনায় বাধ্য করবে।

আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, আসামিরা খ্রিস্টান মৌলবাদের খপ্পরে পড়েছিল। এর মাধ্যমে তাদের অর্থ উপার্জনের পরিকল্পনাও ছিল।

আদালত জানিয়েছে, একজন আসামি আর্থিক ও সামরিক সহায়তা পাওয়ার জন্য সৌদি কর্মকর্তাদের সাথে যোগ যোগ করার চেষ্টাও করেছিল। অপর আসামি জার্মানির বর্তমান ও সাবেক সেনাদের নিয়োগের চেষ্টা করেছিলেন। যদিও তারা তাদের প্রচেষ্টায় সফল হয়নি।

গ্রেপ্তার হওয়ার আগে একবছর ধরে ওই দুই সেনা তাদের পরিকল্পনায় অটল ছিল। গত জুন মাসে তাদের বিচার শুরু হয় এবং আগস্টে তারা ১০ মাস জেল খাটার পর জামিনে মুক্তি পায়। আসামিরা আদালতে তাদের দোষ স্বীকার করেছে এবং রায়ের বিরুদ্ধে কেউ আপিল করবে না।

ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহী ও সৌদি সামরিক জোটের মধ্যে ৮ বছর ধরে যুদ্ধ চলে আসছে। মাঝখানে ছয়মাস যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। কিন্তু যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়াতে ব্যর্থ হয়েছে জাতিসংঘ। হুথিরা ২০১৪ সালে পাহাড় থেকে নেমে এসে ইয়েমেনের রাজধানী সানা দখল করে। সৌদি সমর্থিত সরকারকে তারা নির্বাসনে পাঠাতে বাধ্য করে। যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর হুথি বিদ্রোহীরা সর্বশেষ চলতি মাসে ড্রোন হামলা চালায় ইয়েমেনের হাজরামাউত প্রদেশে।