ফিলিস্তিনের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ বেলা হাদিদের

মার্কিন সুপারমডেল বেলা হাদিদ কাতারের রাজধানী দোহায় একটি ফিলিস্তিনি এমব্রয়ডারি শো পরিদর্শন করার পর কাতার এবং ফিলিস্তিনের প্রতি তার ভালোবাসার কথা ঘোষণা করেছেন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন বাবা মোহাম্মদ হাদিদ।

বেলা হাদিদ

ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত বেলা হাদিদ ২৫ অক্টোবর, মঙ্গলবার তার ইনস্টাগ্রামে জানান, ফিলিস্তিনি এমব্রয়ডারির ইতিহাস নিয়ে আয়োজিত একটি ইভেন্টে অংশ নেয়ার জন্য সম্প্রতি তিনি কাতার সফর করেছেন। 

তিনি লিখেন, 'বিমান থেকে দোহায় নেমেই আমি সরাসরি ‘লেবার অব লাভ’ নামে একটি ফিলিস্তিনি এমব্রয়ডারি প্রদর্শনী দেখতে চলে আসি। ‘তাত্রিজ’ নামে পরিচিত এই ফিলিস্তিনি সূচিকর্ম শিল্পের ইতিহাসের মাধ্যমে দর্শনার্থীরা বিভিন্ন ঐতিহাসিক সময়ের মধ্যে দিয়ে ফিলিস্তিনের সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক বুনন সম্পর্কে ধারণা করতে পারবেন।'  

২৬ বছর বয়সি এই সুপার মডেল আরও লিখেন, 'এই প্রদর্শনী দেখে কোনোভাবেই চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি। আমি আমার ফিলিস্তিনি শিকড় এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতি আরও গর্ব অনুভব করছি। আমি তোমাকে ভালোবাসি কাতার এবং আমি তোমাকে ভালবাসি ফিলিস্তিন।' 

কাতার মিউজিয়ামের (কিউএম) ওয়েবসাইটে পাওয়া তথ্য অনুসারে, ফিলিস্তিনি জাদুঘরের বাহা জুবেহ এই প্রদর্শনীর আয়োজন করেছেন। এটি কাতার-মেনাসা ২০২২ সাংস্কৃতিক উদ্যোগের একটি অংশ।  

বেলা হাদিদের বাবা রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ হাদিদ ১৯৪৮ সালের আল নাকবা বা বিপর্যয়ের সময় ফিলিস্তিন থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন। সেসময় ইসরায়েলিদের অত্যাচারের কবল থেকে রক্ষা পেতে কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল। অধিকৃত অঞ্চলে বসবাসকারী ফিলিস্তিনিরা এখনও নিয়মিতভাবে জোরপূর্বক বহিষ্কার এবং সহিংস হামলার শিকার হচ্ছে। তারা মৌলিক অধিকার এবং স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত। একাধিক মানবাধিকার সংস্থা এটিকে বর্ণবাদী অপরাধ বলে অভিহিত করেছে।

উল্লেখ্য, বেলা হাদিদ প্রায়ই তার প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি নৃশংসতা তুলে ধরেন। তিনি ফ্রি প্যালেস্টাইন বিক্ষোভেও অংশ নিয়েছেন। এছাড়া ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের সমর্থনকারী সংস্থাগুলোতে তার উপার্জিত অর্থ দান করেছেন বলে জানা গেছে।

সূত্র: দ্য নিউ আরব