তুরস্কের সাথে চুক্তি, শক্তিশালী হবে লিবিয়ার বিমানবাহিনী

তুরস্ক ও লিবিয়ার মধ্যে একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। লিবিয়ার ত্রিপোলি ভিত্তিক প্রধানমন্ত্রী আবদুল হামিদ দ্বেইবা তুরস্কের সাথে মঙ্গলবার এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন। চুক্তির ফলে তুর্কি দক্ষতা ব্যবহার করার মাধ্যমে লিবিয়ার বিমানবাহিনী আরও শক্তিশালী হবে। এর আগে ২০১৯ সালে লিবিয়ার সাথে ভূমধ্যসাগরের তেল-গ্যাস উত্তোলন নিয়ে একটি চুক্তি করেছিল। টাইমস অব ইসরায়েলের বরাত দিয়ে আহভাল নিউজ এ খবর দিয়েছে।

তুর্কি দক্ষতা ব্যবহার করার মাধ্যমে লিবিয়ার বিমানবাহিনী আরও শক্তিশালী হবে

লিবিয়ার সাথে করা আগের চুক্তিটি পূর্ব-ভিত্তিক সামরিক প্রধান খলিফা হাফতারের সঙ্গে করেছিল তুরস্ক। চুক্তিটি নিরাপত্তা চুক্তি প্রটোকলের আওতায় করা হয়েছিল। নতুন চুক্তির ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু প্রকাশ করা হয়নি। চুক্তিতে তুরস্কের পক্ষে স্বাক্ষর করেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী হলুসি আকর।

২০১১ সালে ন্যাটো সমর্থিত পক্ষ দ্বেইবাপন্থিরা বিদ্রোহ করার পর লিবিয়া দুটি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রশাসনে বিভক্ত হয়ে যায়। তারা দেশটির শক্তিশালী নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে পতনের দিকে ঠেলে দিতে সহায়তা করে। বর্তমানে পশ্চিমভাগ নিয়ন্ত্রণ করেন দ্বেইবা। আর পূর্বাংশ নিয়ন্ত্রণ করছে হাফতার সমর্থিত সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফাথি বাশাঘার সরকার।

২০১৯ সালে লিবিয়ার সাথে করা চুক্তিটির বিষয় ছিল গ্যাস উত্তোলন। তুরস্ক ওই চুক্তির মাধ্যমে বিরোধপূর্ণ এলাকায় তেল ও গ্যাস সন্ধানের অনুমতি পায়। এই চুক্তির বিরোধিতা করেছিল গ্রিস, ফ্রান্স এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন। চুক্তির পর তুরস্ক দ্বিবেই প্রশাসনকে যুদ্ধে ড্রোন সরবরাহ করে। এরপরই যুদ্ধে দ্বেইবাপন্থীরা হাফতারের বিপক্ষে জিতে যায়। অথচ হাফতারপন্থীরা ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাত ও রাশিয়ার মদদপুষ্ট।

মঙ্গলবার স্বাক্ষরিত চুক্তির ফলে তুর্কি দক্ষতা ব্যবহার করে লিবিয়ার বিমানবাহিনী আরও শক্তিশালী হবে বলে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে। এর আগে দ্বেইবা তুরস্কের একটি প্রতিরক্ষা প্রদর্শনীতে অংশ নেন। নতুন চুক্তি প্রত্যাখ্যান করেছে লিবিয়ার পূর্বাঞ্চল সরকার। প্রতিবেশী মিশরও তাদের সমর্থন করেছে।

দ্বেইবা প্রশাসন জানিয়েছে, গত ৩ অক্টোবর তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু ত্রিপলিতে আরেকটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এই চুক্তিটিও ভূমধ্যসাগরে লিবিয়ার জলসীমায় তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের অনুমতি সংক্রান্ত ছিল।