এক ডজন হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা যুক্তরাষ্ট্রের

একসঙ্গে এক ডজন হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় বুধবার (২৬ অক্টোবর) ভার্জিনিয়ার সাগর তীরের লঞ্চ প্যাড থেকে এসব ক্ষেপণাস্ত্রবাহী একটি রকেট উৎক্ষেপণ করা হয় বলে জানিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন। খবর সিএনএন।

হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

পেন্টাগন জানায়, মার্কিন নৌবাহিনী ও সেনাবাহিনী হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। নতুন ধরনের এ অস্ত্রের উৎপাদন বিকাশের লক্ষ্যে চালানো এ পরীক্ষা সফল হয়েছে।

এটি হচ্ছে এ ধরণের দ্বিতীয়  পরীক্ষা। এর আগে ২০২১ সালের অক্টোবরে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের একটি পরীক্ষা চালিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।

ভার্জিনিয়ার সাগর তীরবর্তী নাসার ওয়ালপস ফ্লাইট ফ্যাসিলিটি থেকে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা পরিচালনা করে স্যান্ডিয়া ন্যাশনাল ল্যাবরেটরিস।

সংস্থাটি সমুদ্র ও স্থলে হাইপারসনিক অস্ত্রের যোগাযোগ ও নেভিগেশন যন্ত্রপাতির কার্যকারিতা মূল্যায়ন করে থাকে। পাশাপাশি হাইপারসনিক পরিবেশে যে তাপমাত্রা সৃষ্টি হয়, অত্যাধুনিক উপকরণগুলোর সেটি সহ্য ক্ষমতা কতটুকু, তাও যাচাই করে থাকে স্যান্ডিয়া।

মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর জানায়, বায়ুমণ্ডলের উপরের অংশে একটি রকেট উৎক্ষেপণ করে সেটি থেকে হাইপারসনিক গ্লাইড ভেহিকেলগুলো নিক্ষিপ্ত হয়। তখন শব্দের পাঁচ গুণেরও বেশি গতিতে (ঘণ্টায় ৬২০০ কিমি) লক্ষ্যের দিকে ছুটে যায় অত্যাধুনিক এ ক্ষেপণাস্ত্রগুলো।

পরবর্তী প্রজন্মের এ অস্ত্র প্রতিপক্ষকে কোনোরকম সময় দেয় না। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে দেয়।

অতিসাম্প্রতিক হাইপারসনিক অস্ত্র নির্মাণের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার প্রতিপক্ষ বিশ্ব শক্তিগুলো।