পুতিন: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে জটিল সময়ে পা দিতে চলেছি

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, পশ্চিমারা ইউক্রেন নিয়ে একটি ‘বিপজ্জনক, রক্তাক্ত এবং নোংরা’ খেলা খেলছে। তবে শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্রদের রাশিয়ার সাথে কথা বলতে হবে। বৃহস্পতিবার ভালদাই ডিসকাশন ক্লাবে এক আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন

পুতিন বলেন, পশ্চিমারা ঔপনিবেশিকতায় অন্ধ হয়ে গেছে এবং বাকি বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে। যতই তারা লাফালাফি করুক, বিশ্বের ভবিষ্যত নিয়ে পশ্চিমাদের অবশ্যই রাশিয়া ও অন্যান্য বড় শক্তির সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে।

রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট বলেন, পশ্চিমা আধিপত্যের ঐতিহাসিক মৃত্যু ঘটতে চলেছে। আমরা একটি ঐতিহাসিক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছি। সামনে সম্ভবত সবচেয়ে বিপজ্জনক, অপ্রত্যাশিত এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির পর সবচেয়ে জটিল দশকে পা দিতে চলেছি।

বর্তমান সংঘর্ষের পরও রাশিয়া এখন পশ্চিমকে শত্রু জ্ঞান করেনি উল্লেখ করে পুতিন বলেন, পশ্চিমারা ক্রমাগত ইউক্রেনে রাশিয়ার ক্ষতির কথা চিন্তা করছে। একমাত্র রাশিয়াই পারে ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতার নিশ্চয়তা দিতে।

সম্ভাব্য পারমাণবিক উত্তেজনার ব্যাপারে জানতে চাইলে পুতিন বলেন, যতদিন পারমাণবিক অস্ত্র থাকবে, ততদিন পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের বিপদও থাকবে।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়। যুদ্ধের সাত মাস পর রাশিয়া ইউক্রেনের চারটি অঞ্চল জাপোরিঝিয়া, খেরসন, দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক প্রদেশ দখলে নেয়। এই অঞ্চলগুলো পুতিন রুশ ফেডারেশনে যুক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন। ইউক্রেন প্রতিরোধ যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। পাল্টা আক্রমণও করছে। কিন্তু পশ্চিমা অস্ত্র-সরঞ্জাম ছাড়া যুদ্ধের ময়দানে তারা অসহায়।

এই অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইউক্রেনে আরও সামরিক সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন। ন্যাটো সামরিক জোট প্রতিটি সদস্য রাষ্ট্রে নিরাপত্তা বাড়িয়েছে। রাশিয়াকে সহায়তা করার অভিযোগে ইরানের বিরুদ্ধেও নতুন নিষেধাজ্ঞার কথা জানিয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো।