ইরানি ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ লেখক সালমান রুশদির বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের ফতোয়া দেওয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকায় ইরানের একটি ফাউন্ডেশনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। স্যাটানিক ভার্সেস নামে বিতর্কিত একটি বই লেখার কারণে ১৯৮৯ সালে ইরানের ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনি তাকে হত্যার জন্য ফতোয়া জারি করেছিলেন। তখন তিনি লাখ লাখ ডলারের পুরস্কারও ঘোষণা দিয়েছিলেন।

সালমান রুশদি

২৮ অক্টোবর, শুক্রবার মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট ফিফটিন খোরদাদ ফাউন্ডেশন এর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এর ফলে প্রতিষ্ঠানটির যদি যুক্তরাষ্ট্রে কোনো সম্পদ থাকে তা বাজেয়াপ্ত করা হবে। এছাড়া মার্কিন কোনো নাগরিক এ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কোনো লেনদেন করতে পারবে না।

এক বিবৃতিতে ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট জানায়, ১৯৮৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনির আদেশে রুশদির মৃত্যুদণ্ড ঘোষণার পর থেকে, ফিফটিন খোরদাদ ফাউন্ডেশন এই জঘন্য কাজটি করতে ইচ্ছুক যে কাউকে লাখ লাখ ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।'  এতে আরও বলা হয়, ইরানের সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গে এই ফাউন্ডেশনের সম্পৃক্ততা রয়েছে। ১৯৮৯ সালের পর প্রতিষ্ঠানটি রুশদির মাথার দাম আরও কয়েক দফা বাড়িয়েছে। 

উল্লেখ্য, স্যাটানিক ভার্সেস ১৯৮৮ সালে প্রকাশিত হয়। বইটি প্রকাশের পর মুসলিম দেশগুলোতে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ১৯৮৯ সালে ইরানের প্রয়াত নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনি রুশদির বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের ফতোয়া জারি করেন। এরপর দীর্ঘ এক দশকের বেশি পালিয়ে থাকতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি। চলতি বছরের আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে একটি মঞ্চে বক্তৃতা দিতে যাওয়ার সময় ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন বিতর্কিত এই লেখক। এই হামলার ফলে একচোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন তিনি এবং একটি হাত অকেজো হয়ে গেছে।

সূত্র: আল জাজিরা