দিল্লিতে বিমানে আগুন, বন্দরে জরুরি অবস্থা

দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী বিমানবন্দরে গতকাল শুক্রবার রাতে উড্ডয়নের কয়েক সেকেন্ড আগে একটি বিমানে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। সাথে সাথে পুরো বিমানবন্দরে জরুরি অবস্থা জারি করা হয় এবং বিমানটির টেক-অফ বাতিল করা হয়। তবে ওই বিমানের যাত্রীদের হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। খবর এনডিটিভি, হিন্দুস্তানটাইমস।

উড্ডয়নের আগের মুহূর্তে বিমানের ইঞ্জিনে অগ্নিস্ফুলিঙ্গ

দিল্লি পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাত পৌনে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ইন্ডিগো ফ্লাইট ৬ই-২১৩১-এর সমস্ত যাত্রী ও ক্রুরা নিরাপদ রয়েছে। বিমানটিতে সব মিলিয়ে ১৮৪ জন আরোহী ছিলেন। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

অগ্নিকাণ্ডের শিকার ইন্ডিগো বিমানটির কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানায়, দিল্লি থেকে ব্যাঙ্গালুরুগামী ৬ই-২১৩১ ফ্লাইটটি টেক-অফ রোলের সময় তার ইঞ্জিনে স্ফুলিঙ্গ দেখা যায়। ফলে বিমানটির টেক-অফ বাতিল করা হয় এবং বিমানটি নিরাপদেই ফিরে আসে।

ইন্ডিগোর বিমান

ইন্ডিগো আরও জানায়, প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণেই ইঞ্জিনের আগুনের এ ঘটনা ঘটে। তবে অগ্নিস্ফুলিঙ্গ দেখেই পাইলট বিমানটিকে ফের নিরাপদে বে-তে নিয়ে যান। বিমানটির যাত্রীদের বিকল্প বিমানে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এই ঘটনা ও যাত্রীদের অসুবিধার জন্য তারা দুঃখ প্রকাশ করে।

প্রিয়াঙ্কা কুমার নামের এক যাত্রী টুইটারে একটি ভিডিও পোস্ট করেন, যাতে দেখা যায়, একটি ইঞ্জিনে আগুন জ্বলছে এবং স্পার্কও ছড়িয়ে পড়ছে। দিল্লি রানওয়েতে এটিকে একটি ভীতিকর অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে তিনি বলেন, এটি বিমানটির টেকঅফের ভিডিও হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু এটাই ঘটছে।

পরে প্রিয়াঙ্কা কুমার ফোনে জানান, ফ্লাইটটি পাঁচ থেকে সাত সেকেন্ডের মধ্যে টেক অফ হয়ে যেত। হঠাৎ, আমি ডানা থেকে বিশাল স্পার্ক দেখতে পেলাম এবং দেখলাম এটি বড় আগুনে পরিণত হচ্ছে। এর পরপরই বিমানটি থেমে যায় এবং পাইলট আমাদের জানান, ইঞ্জিনে কিছু ত্রুটি দেখা দিয়েছে। পরে সেখানে ফায়ার ব্রিগেডের গাড়ি ছুটে আসে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ইন্ডিগো আমাদের জন্য আরেকটি বিমানের ব্যবস্থা করেছে।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় প্রথমে পুরো বিমানে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে ক্রুরা সবাইকে বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সবাই নিরাপদে ছিল। বিমানের ভিতরে কোনো বিপদ ঘটেনি।

এদিকে বিষয়টি নিয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয় ঘটনার তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

উল্লেখ্য, এ ঘটনার ২৪ ঘণ্টা আগেই দিল্লি বিমানবন্দরকে অক্টোবর মাসে বিশ্বের দশম ব্যস্ততম বিমানবন্দরের তকমা দেয় একটি সংস্থা। তারপরেই বিমানে আগুনের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।