মাহসা আমিনির খবর প্রচার করা সাংবাদিক ‘সিআইএ’র এজেন্ট’

মাহসা আমিনির মৃত্যুর খবর প্রচার করা দুই নারী সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সিআইএ, এমআই৬, মোসাদ এবং সৌদি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগ এনেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ।

নিলুফার হামেদি এবং এলাহে মোহাম্মদী

এই সাংবাদিকরা হলেন- নিলুফার হামেদি এবং এলাহে মোহাম্মদী। এদের দুইজনকেই কয়েক সপ্তাহ ধরে আটক রাখা হয়েছে। কিছু খবরে বলা হয়েছে, তাদের নির্জন কারাগারে রাখা হয়েছে। ২২ বছর বয়সী মাহসা আমিনি মারা যাওয়ার পরে হাসপাতালে তার পরিবারের ছবি তুলেছিলেন নিলুফার হামেদি। আমিনির জানাজায় নারীদের হিজাব খুলে ফেলার খবর প্রকাশ করেছিলেন এলাহে মোহাম্মদী।

গত সপ্তাহে ইরানি টিভিতে প্রচারিত এক বিবৃতিতে ইরানের গোয়েন্দা বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং ইসলামিক রেভুলেশনারি গার্ড দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার সাথে কাজ করার অভিযোগ এনেছে। তাদের প্রচারিত খবরের কারণেই দেশজুড়ে এই বিক্ষোভের শুরু হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। এই বিক্ষোভে ৪০ জনের বেশি সাংবাদিককে আটক করেছে কর্তৃপক্ষ। 

ইরান সবসময়ই সরকার বিরোধী যেকোনো কর্মকাণ্ডকে বিদেশি ষড়যন্ত্র বলে অভিযোগ করে থাকে। এ ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের নামই বেশি উচ্চারিত হয়।

উল্লেখ্য, ১৬ সেপ্টেম্বর মাহসা আমিনি নামের ২২ বছর বয়সি এক কুর্দি তরুণী পুলিশ হেফাজতে মারা যাওয়ার পর বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠে ইরান। চলমান এই বিক্ষোভে শতাধিক নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনগুলো। শুরুতে এই বিক্ষোভ হিজাবের বিরুদ্ধে ছিল কিন্তু বর্তমানে এটি সরকার বিরোধী আন্দোলনে পরিণত হয়েছে।

সূত্র: দ্য নিউ আরব