হ্যালোইন উৎসবে নিহত বেড়ে ১৫১, রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা

দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে হ্যালোইন উৎসবে পদপিষ্ট হয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫১ জনে পৌঁছেছে। এ ঘটনায় অন্তত আরও দেড় শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে কয়েকজন বিদেশি নাগরিকও রয়েছেন। এ ঘটনায় দক্ষিণ কোরিয়ায় আজ রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হচ্ছে। খবর বিবিসি ও আলজাজিরা।

রাস্তার পাশে মরদেহের সারি

দ্য কোরিয়া হেরাল্ড জানায়, স্থানীয় সময় শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে সিউলের ইতায়েওন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। করোনা মহামারির কারণে দুই বছর ধরে দক্ষিণ কোরিয়ায় হ্যালোইন উৎসব বন্ধ ছিল। এ বছর ফের এ উৎসব অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে খুবই সংকীর্ণ এ জায়গাটিতে ধারণক্ষমতার অনেক বেশি লোক জমায়েত হলে ভিড়ে পদদলিত হয়ে এবং স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে।

কর্তৃপক্ষ প্রথমে ৫০ জন নিহত হওয়ার ঘোষণা দেয়, পরে ১২২ নিহত হওয়ার খবর দেয়। সর্বশেষ তারা ১৫১ জন নিহত হওয়ার খবর জানায়। তবে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশংকা করছে কর্তৃপক্ষ।

রাস্তার পাশেই আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে

ইয়ংসান ফায়ার স্টেশনের প্রধান চোই সুং-বিওম বলেছেন, নিহতদের মধ্যে ৯৭ নারী ও ৫৪ জন পুরুষ, যাদের অধিকাংশের বয়স ২০ এর কোঠায়। নিহতদের মধ্যে ১৯ জন বিদেশিও রয়েছেন। এদের মধ্যে ইরান, উজবেকিস্তান, চীন ও নরওয়ের নাগরিক রয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

ফায়ার সার্ভিস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, শতাধিক মরদেহ হাসপাতালে আছে। বাকি মরদেহগুলো ইনডোর জিমনেসিয়ামে রাখা হয়েছে। এখনো সবার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এদিকে এ ঘটনার পর দেশটির প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল তাৎক্ষণিক জরুরি বৈঠক ডাকেন এবং হতাহতদের দ্রুত চিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশ দেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, এটি সত্যিই দুঃখজনক একটি ঘটনা। সিউলের কেন্দ্রস্থলে যে ট্র্যাজেডি ও বিপর্যয় ঘটেছে, তা হওয়া উচিত ছিল না। পরে তিনি রোববার রাষ্ট্রীয় শোক পালনের ঘোষণা দেন।

স্থানীয় গণমাধ্যমসূত্রে জানা গেছে, প্রতিবছর অক্টোবরের শেষদিনে ‘মৃত আত্মাদের স্মরণে’ দক্ষিণ কোরিয়ায় হ্যালোইন উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এ উৎসবের জন্য সিউলের ইথেওন এলাকা খুবই আকর্ষণীয় জায়গা। শনিবার রাতে ওই এলাকায় লক্ষাধিক মানুষ সমবেত হয়।