অরাজক অবস্থার মধ্যেই সরে দাঁড়ালেন লেবাননের প্রেসিডেন্ট

লেবাননে চরম অরাজক অবস্থা বিরাজ করছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট মিশেল আউন গতকাল রোববার ছয় বছরের মেয়াদ শেষে সরে গেছেন। তিনি পদত্যাগ করলেও নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। রাজনৈতিক শূন্যতার মধ্যে দেশটির অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে চলে গেছে। খবর আল জাজিরা, ইসরায়েল ন্যাশনাল নিউজ।

অরাজক অবস্থার মধ্যেই লেবাননের প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ

দেশটি কয়েকবছর ধরে আর্থিক সংকট থেকে পুনরুদ্ধারের জন্য লড়াই করছে। বৈরুতে বাবদা প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের বাইরে দেওয়া বক্তব্যে ৮৯ বয়সী আউন বলেন, লেবানন একটি নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করতে চলেছে। দেশটিকে বাঁচানোর জন্য দরকার ব্যাপক প্রচেষ্টা।

খবরে বলা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি গত মে মাসে সংসদ নির্বাচনের পর নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করতে ব্যর্থ হন। এরপর থেকে দেশটি চালাচ্ছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। কিন্তু চরম অর্থনৈতিক সংকটে এই সরকার দেশ চালাতে হিমশিম খাচ্ছে।

কার্যালয় ত্যাগ করার সময় প্রাসাদের বাইরে এক বক্তব্যে আউন বলেন, তিনি মিকাতির সরকারের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন। দেশটির রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। আমি প্রাসাদ ছেড়ে চলে যাচ্ছি, কারণ দেশে এখন লুটপাট হচ্ছে। সাধারণ মানুষ ব্যাংকে টাকা রেখেও শান্তিতে ঘুমাতে পারছে না।

২০১৬ সালে যখন আউন নির্বাচিত হন, তার আগে দুই বছরেরও বেশি সময় লেবাননের প্রেসিডেন্ট পদ শূন্য ছিল। তিনি হিজবুল্লাহ সমর্থিত ছিলেন। লেবাননের সংসদে হিজবুল্লাহর শক্তিশালী উপস্থিতি রয়েছে।

বিদায়ী প্রেসিডেন্ট আউনের সবচেয়ে বড় ইতিবাচক অর্জন হলো ইসরায়েলের সাথে সমুদ্রসীমা চুক্তিতে সফল হওয়া। মার্কিন মধ্যস্থতায় চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি স্বাক্ষরের পর আউন বলেছিলেন, চুক্তিতে লেবাননের সব অধিকার বজায় রয়েছে।

আউন হিজবুল্লাহকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, লেবাননের নারী ও পুরুষ হিজবুল্লাহর অবদান অস্বীকার করতে পারে না। কারণ দেশের দৃঢ়তা ও স্থিতিশীলতায় হিজবুল্লাহ লেবাননের শক্তি- তা প্রমাণিত হয়েছে। তারা দেশ গঠনে শক্তিশালী অবদান রেখেছে। যা ভবিষ্যৎ প্রজন্ম অনুসরণ করতে পারে।