বাংলাদেশের অপেক্ষা বাড়াল ভারত

এবারের বিশ্বকাপে দেড় দশকের অপেক্ষার অবসান হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূলপর্বে জয়খরা টাইগাররা কাটিয়েছে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে। সুপার টুয়েলভের পরের ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নাটুকে জয়ের পর ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে দারুণ একটা মাইলফলক ছোঁয়ার সুযোগ ছিল বাংলাদেশের।

ভারতের বিপক্ষে বল হাতে আগুন ঝরানোর পর ব্যাটিংয়েও ঝলক দেখিয়েছেন তাসকিন আহমেদ

কিন্তু আশা জাগিয়েও বৃষ্টিভেজা নাটকীয় ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে পাঁচ রানে হেরে গেছেন সাকিব আল হাসানরা। হৃদয় ভাঙা এই হারে বাংলাদেশের জয়ের হাফসেঞ্চুরির মাইলফলক ছোঁয়ার অপেক্ষাটা বেড়ে গেল। এই সংস্করণে টাইগারদের ১৪৩ ম্যাচে জয় আছে ৪৯টি। পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছানোর সুযোগ আছে সাকিবদের।

কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি জয় পাকিস্তানের। সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ডটাও তাদের দখলে। সর্বোচ্চ ২১১ ম্যাচ খেলে পাকবাহিনী জয় পেয়েছে ১২৮টিতে। তবে সাফল্যের হারে তাদের অবস্থান ভারত ও আফগানিস্তানের পেছনে। ১৮৯ ম্যাচে ভারত জয় পেয়েছে ১২১টিতে।

এই সংষ্করণে ভারতের জয়ের হার ৬৬.৫৭। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ক্রিকেটের উঠতি শক্তি আফগানিস্তান। রশিদ-নবিদের দেশ ১০৬ ম্যাচে ৬৮টি জয় পেয়েছে। সাফল্যের হার ৬৪.৬২। যে ১২টি দল অন্তত ১০০টি ম্যাচ খেলেছে তাদের মধ্যে কেবল জিম্বাবুয়ের চেয়েই জয়ের সংখ্যায় এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। 

একনজরে দেখে নেওয়া যাক আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে কোন দলের জয় কতটি:

১. পাকিস্তান: ম্যাচ- ২১১। জয়- ১২৮।
২. ভারত: ম্যাচ- ১৮৯। জয়- ১২১।
৩. দক্ষিণ আফ্রিকা- ম্যাচ ১৬৩- জয়- ৯৪।
৪. নিউজিল্যান্ড: ম্যাচ- ১৯৭। জয়- ৯২।

৫. অস্ট্রেলিয়া: ম্যাচ- ১৭৩। জয়- ৯০।
৬. ইংল্যান্ড: ম্যাচ- ১৬৭। জয়- ৮৭।
৭. শ্রীলঙ্কা: ম্যাচ- ১৭২। জয়-৭৮।
৮. ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ম্যাচ-১৭৬। জয়- ৭১।

৯. আফগানিস্তান: ম্যাচ- ১০৬। জয়- ৬৮।
১০. বাংলাদেশ: ম্যাচ- ১৪৩। জয়- ৪৯।
১১. আয়ারল্যান্ড: ম্যাচ- ১৪০। জয়- ৫৮।
১২. নেদারল্যান্ডস: ম্যাচ- ৯৭। জয়: ৪৮ জয়।

১৩. জিম্বাবুয়ে: ম্যাচ- ১১৯। জয়- ৩৬।
১৪. স্কটল্যান্ড: ম্যাচ- ৮৩। জয়: ৩৫।
১৫. সংযুক্ত আরব আমিরাত: ম্যাচ- ৬৯। জয়: ৩৪।
১৬. নেপাল: ম্যাচ-৫৭। জয়- ৩৩।