‘বিচ্ছিন্ন’ বরিশালে এক যুগ পর প্রাণবন্ত বিএনপি

বরিশালে সড়ক ও নৌপথে বন্ধ রয়েছে সব ধরনের যানবাহন চলাচল। ‘ধর্মঘট’ পালন করছেন পরিবহন মালিকরা। শুক্রবার থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন রয়েছে বরিশাল। এ অবস্থায় আজ শনিবার বরিশালের বঙ্গবন্ধু উদ্যানে গণসমাবেশ করছে বিএনপি।

দীর্ঘ এক যুগ পর বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ফলে সমাবেশ সফল করতে পরিবহন ধর্মঘটের মধ্যেও যে যেভাবে পারছেন সমাস্থলে আসছেন নেতাকর্মীরা। 

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল অভিযোগ করে বলেন, অন্যান্য বিভাগে আমাদের সমাবেশের সময় সরকার যা করেছে, এখানেও তাই করছে। গণপরিবহন বন্ধ রেখে সমাবেশ বানচালের চেষ্টা করছে সরকার। কিন্তু সরকারের সে চেষ্টা ব্যর্থ হবে। মানুষ যে যেভাবে পারছে বাধা পেরিয়ে স্রোতের মতো আসছে।

ধর্মঘটের কারণে দুদিন আগে থেকে সমাবেশ স্থলে আসতে শুরু করেছেন নেতাকর্মীরা। গতকাল শুক্রবার থেকে বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে একে একে মিছিল ঢুকতে থাকে সমাবেশ স্থলে।

এ সমাবেশ ঘিরে গত কয়েক দিন ধরে মহানগর আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে এক ধরনের উত্তেজনা চলছে। সমাবেশকে কেন্দ্র করে নগরের প্রবেশপথে চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ। শহরে বিভিন্ন সড়কে টহল দিচ্ছে র‌্যাব-পুলিশ।

বিএনপির অভিযোগ, পরিবহন বন্ধ করে নেতাকর্মীদের বরিশালে আসা আটকাতে না পেরে এখন তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার লঞ্চ এবং শুক্রবার থেকে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যে যেভাবে পেরেছেন বরিশালে ঢুকতে শুরু করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। বিভিন্ন জেলা থেকে ট্রলার ও বালুবাহী জাহাজ-বাল্কহেড করে আসতে দেখা গেছে অনেককে।

বিএনপির শ্রমবিষয়ক সহসম্পাদক ফিরোজ উজ জামান বলেন, ধর্মঘট শুরুর আগে গতকালই শুধু বরগুনা থেকে ট্রলার ও বাল্কহেডে করে কয়েক হাজার নেতাকর্মী বরিশালে এসেছেন। তাদের একটি অংশ সমাবেশস্থলে তাঁবু টেনে থেকেছেন।

পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন বলেন, আমরা বরিশালে আসার কোনো গাড়ি পাইনি। পরে পায়ে হেঁটে, ট্রলারে ও ভেঙে ভেঙে সমাবেশস্থলে এসেছি। তবে এত কিছুর মধ্যেও বরিশালে এক যুগের বেশি সময় পরে প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে বিএনপি।