কোনো চাপ নেই। নির্ভার থাকতে হবে। ফিফা বিশ্বকাপকে সামনে রেখে খেলোয়াড়দের এমনই বার্তা দিয়েছেন সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। দেশের সর্বোচ্চ প্রশাসন থেকে এই বার্তা সৌদিকে যে চাপমুক্ত রাখতে এটা নিশ্চিত। অর্থাৎ এই বিশ্বকাপে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির হারানোর কিছু নেই। তবে পাওয়ার আছে। ব্যর্থ হলেও সমস্যা নেই। কারণ আসরটা যে তাদের জন্য ‘শিক্ষা সফর’। কারণটা অবশ্য অমূলক নয়।

saudi arabia football team 2022আসন্ন কাতার বিশ্বকাপ উপভোগ করতে খেলোয়াড়দের পরামর্শ দিয়েছেন সৌদি আরব যুবরাজ

সবচেয়ে কঠিন যে দুটি গ্রুপ তার একটিতে পড়েছে সৌদি আরব। তা ছাড়া গ্রুপে সবচেয়ে কম শক্তিধর তারাই। সৌদি নক আউট পর্বে উঠতে পারলে সেটাই বরং আশ্চর্যের হবে। কারণ গ্রুপে তাদের তিন প্রতিপক্ষ লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা, রবার্ট লেভাডফস্কির পোল্যান্ড ও অভিজ্ঞ মেক্সিকো। ধারণা করা হচ্ছে এই তিনটি দলের সঙ্গেই মূলত লড়াইটা হবে। গত আসরেও গ্রুপপর্ব থেকে বিদায় নিয়েছিল সৌদি। তবে প্রতিবেশী দেশে বিশ্বকাপ বিধায় কন্ডিশনিং সুবিধা পাবে দলটি।

তারকা: সৌদি আরব দলে বেশ কয়েকজন অভিজ্ঞ ফুটবলার আছেন। তবে বিশেষ নজর থাকবে সালেহ আল শেহরির ওপর। ২৯ বছর বয়সী এই তারকা দেশের হয়ে ১৯ ম্যাচে ১০ গোল করেছেন। এবারের বিশ্বকাপে তার দিকেই তাকিয়ে থাকবে সৌদি আরব। দুই বছর আগে জাতীয় দলে অভিষেক হয় শেহরির। পরিণত বয়সে সুযোগ প্রাপ্তির পর আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন তিনি। আলো ছড়িয়েছেন বাছাইপর্বে। এবার মূলপর্বেও কিছু করতে চান শেহরির। মধ্যমাঠের দুই ফুটবলার ফাহাদ আল-মুয়ালাদ ও সেলিম আল-দাওসারিও ভরসার নাম হয়ে উঠতে পারেন। দেশের হয়ে দুজনই গোল করেছেন ১৭টি। তবে ফাহাদ ম্যাচ খেলেছেন ৭৩টি। পাঁচটি কম সেলিম।

প্রধান কোচ: ২২ বছরের কোচিং অভিজ্ঞতা হার্ভি রিনার্ড। ২০১৯ সালে ফরাসি এই কোচের হাতে তুলে দেওয়া হয় সৌদি আরবের দায়িত্ব। মূলত আফ্রিকান দুই দেশ জাম্বিয়া ও আইভরি কোস্টের হয়ে সাফল্যই তাকে লাইমলাইটে এনেছে। ইতিহাসের প্রথম ও একমাত্র কোচ হিসেবে দুটি আলাদা দেশের হয়ে আফ্রিকান নেশনস কাপ জয়ের কীর্তি গড়েছেন তিনি। খেলোয়াড়ি জীবনে কিছু করতে না পারার আক্ষেপ রিনার্ড ঘুচিয়েছেন কোচিংয়ে। তার অধীনেই বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের বাধা পাড়ি দিয়েছে সৌদি। এবার নিজের অভিষেক বিশ্বকাপে আলো ছড়াতে চান ৫৪ বছর বয়সী কোচ।

কিংবদন্তি: সৌদি আরবের ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে বড় তারকা ভাবা হয় মাজেদ আব্দুল্লাহকে। তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ সাফল্য পায় সৌদি আরব। ১৯৯৪ সালে সবাইকে চমক দেখিয়ে সৌদি ওঠে নক আউট পর্বে। এরপর চারটি বিশ্বকাপ খেলেও গ্রুপপর্বের দেয়াল ভাঙতে পারেনি মধ্যপাচ্যের দেশটি। ১৯৯৪ বিশ্বকাপের পরই অবসরের ঘোষণা দেন মাজেদ। ১৯৭৮ সালে অভিষেক। দেশের হয়ে ১১৬টি ম্যাচ খেলেছেন এই ফরওয়ার্ড। তার গোল ৭২টি। যা সৌদি আরবের পক্ষে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা সামি আল-জাবেরের ৪৬টি গোল আছে। তবে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ডটা মোহাম্মদ আল-দিয়ার দখলে। ১৭৮টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি।

সৌদি আরব:

গ্রুপ ‘সি’: আর্জেন্টিনা, সৌদি আরব, মেক্সিকো, পোল্যান্ড

ফিফা র‌্যাঙ্কিং: ৫১

বিশ্বকাপ রেকর্ড:

১৯৩০-৫৪: ফিফার সদস্য নয়
১৯৫৮-৭৪: অংশ নেয়নি
১৯৭৮-৯০: বাছাইপর্ব
১৯৯৪: শেষ ১৬

১৯৯৮-২০০৬: গ্রুপপর্ব
২০১০-১৪: বাছাইপর্ব
২০১৮: গ্রুপপর্ব

গ্রুপপর্বের ম্যাচ:

২২ নভেম্বর: আর্জেন্টিনা-সৌদি আরব, বিকেল ৪টা
২৬ নভেম্বর: সৌদি আরব-পোল্যান্ড, সন্ধ্যা ৭টা
৩০ নভেম্বর: সৌদি আরব-মেক্সিকো, রাত ১টা

Stay on top of the latest sports news, including cricket and football, from around the world. Get comprehensive coverage of matches, tournaments, and leagues— along with expert analysis and commentary from our team of sports journalists. Whether you're a die-hard fan or a casual observer, you'll find everything you need to know about your favorite sports here.

Sports, cricket, and football are popular topics in the world of sports. Cricket is a bat-and-ball game played between two teams of eleven players and is particularly popular in South Asian countries. Football, also known as soccer, is a team sport played with a spherical ball between two teams of eleven players and is widely popular worldwide. Sports enthusiasts follow the latest news, matches, tournaments, and leagues in these sports and analyze and comment on the performances of players and teams.