কাতারে ভারতীয় নৌবাহিনীর ৮ সাবেক কর্মকর্তা আটক

ভারতীয় নৌবাহিনীর আট সাবেক কর্মকর্তাকে আটক করেছে কাতার। বিষয়টিকে ঘিরে কাতারের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কে শীতলতা দেখা দিয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, আটক কর্মকর্তাদের দ্রুত মুক্তি ও প্রত্যাবাসনের জন্য দিল্লির পক্ষ থেকে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

ভারতীয় নৌবাহিনীর আট সাবেক কর্মকর্তাকে আটক করেছে কাতার

কাতারে ভারতীয় নৌবাহিনী সদস্যরা আটক রয়েছেন কিনা এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেন, আমরা আটজন ভারতীয় নাগরিক আটক হবার বিষয়ে অবগত আছি। আমরা যতদূর জানি তারা কাতারে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। ভারতীয় দূতাবাস এ বিষয়ে কাতার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে এবং আটক ভারতীয়দের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পেয়েছে ও তাদের খোঁজখবর নিয়েছে।

তিনি বলেন, আটক ব্যক্তিরা তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে একাধিকবার কথা বলেছেন। আমরা আরেকদফা তাদের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ চেয়েছি। এ বিষয়ে কাতার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। আটক ব্যক্তিদের দ্রুত মুক্তি ও প্রত্যাবাসনের জন্য সম্ভাব্য সবরকম চেষ্টা চলছে।

ভারতীয় নৌবাহিনীর আটককৃত সদস্যরা কাতারে দাহরা গ্লোবাল টেকনোলজিস অ্যান্ড কনসালটেন্সি সার্ভিসেস নামে একটি ভারতীয় মালিকানাধীন কোম্পানিতে কর্মরত ছিল। কোম্পানিটির ওয়েবসাইটে পরিচয় হিসেবে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ সেবাদাতা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। খামিস আল আজমী নামে ওমান নৌবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত স্কোয়াড্রন লিডার এ কোম্পানির সিইও।

আটককৃত ভারতীয় কর্মকর্তাদের একজন নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কমান্ডার পুর্ণেন্দু তিওয়ারি ২০১৯ সালে ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দের কাছ থেকে প্রবাসী ভারতীয় সম্মান পুরষ্কার গ্রহণ করেন। কোম্পানির ওয়েবসাইটে তার অভিজ্ঞতা হিসেবে একটি মাইনসুইপার ও একটি উভচর যুদ্ধজাহাজের কমান্ডার ছিলেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। পুর্ণেন্দু তিওয়ারি দাহরা টেকনোলজিসের এমডি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

আটক অন্যরা হলেন- কমান্ডার নভতাজ সিং গিল (ডিরেক্টর, নেভাল ট্রেইনিং), কমান্ডার বীরেন্দ্র কুমার ভার্মা (ডিরেক্টর অব নেভাল একাডেমি), কমান্ডার সুগুণাকর পাকালা (ডিরেক্টর, এফসিএন), কমান্ডার সঞ্জীব গুপ্ত, কমান্ডার অমিত নাগপাল, ক্যাপ্টেন সৌরভ বশিষ্ট ও রাগেশ গোপাকুমার।

জানা গেছে, আগস্ট মাসের এক রাতে কাতার কর্তৃপক্ষ ভারতীয় নৌবাহিনীর এসব কর্মকর্তাকে আটক করে। ভারত সরকার অথবা কাতারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলা হয়নি। সম্প্রতি আটক এক কর্মকর্তার স্ত্রী তার স্বামীর মুক্তিতে ভারত সরকারের সহায়তা চেয়ে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করলে বিষয়টি প্রচারমাধ্যমের নজরে আসে এবং ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এর সত্যতা স্বীকার করে।