সরকারি খরচে কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ বন্ধ

সরকারি খরচে সরকারের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব ধরনের বিদেশ ভ্রমণ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ বুধবার (৯ নভেম্বর) অর্থ বিভাগের জারি করা আদেশে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

বাংলাদেশ সরকারের লোগো

অর্থ বিভাগের আদেশে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে সরকারের পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় সব পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীর সব ধরনের বিদেশ ভ্রমণ পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানসহ সরকারের আওতাধীন দপ্তর, অধিদপ্তর,পরিদপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, পাবলিক সেক্টর করপোরেশন ওরাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে এ আদেশ কার্যকর হবে।

এ ছাড়া স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত কোনো সংস্থা, রাষ্ট্রীয় মালিকানার করপোরেশন ও রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলোর নিজস্ব অর্থায়নেও সব ধরনের বিদেশ ভ্রমণ বন্ধ থাকবে।

আদেশে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে বলা হয়েছে, বিদেশি সরকার, প্রতিষ্ঠান, উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান বা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থায়নে বৃত্তি বা ফেলোশিপের আওতায় স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি কোর্সে পড়াশোনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অনুমোদন নিয়ে বিদেশে যেতে পারবেন।

এ ছাড়া বিদেশি সরকার, প্রতিষ্ঠান বা উন্নয়ন সহযোগীর আমন্ত্রণে ও তাদের সম্পূর্ণ অর্থায়নে আয়োজিত বিশেষায়িত বা পেশাগত প্রশিক্ষণ ও সেমিনারে অংশ নিতে বিদেশে যেতে পারবেন সরকারি কর্মকর্তারা।

আদেশের বিষয়ে অর্থ বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, ব্যক্তিগত কাজে নিজের খরচে কারো বিদেশে যেতে বাধা নেই। শুধু সরকারি খরচে সব ধরনের বিদেশ ভ্রমণ বন্ধ করা হয়েছে।

দেশে গত এপ্রিল-মে মাসে ডলারের সংকট দেখা দিলে তখন সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ সীমিত করার বিষয়ে আদেশ জারি করা হয়েছিল।

দেশে ডলার সংকটের কারণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ পড়েছে। ওই চাপ কমানোর পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।